শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
৬ মার্চ) বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানান। ঘটনাসূত্রে জানা যায়,ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে রয়েছেন— জয়ন্তু রায় (৩০), নির্মল কর্মকার (৬০), রিপন কর্মকার (৪৬), ধিমান কর্মকার (৫১), বাবুল চন্দ্র শীল (৫০), বিকাশ চন্দ্র দাস (৪৫)। এছাড়াও “নিকুঞ্জ সোনা ঘর” ও “শ্যামল আর্ট” নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের সঙ্গে সদর থানা পুলিশ, আনসার ভিডিপি, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিসের কমিউনিটি ভলান্টিয়ার ও স্থানীয় স্বেচ্ছা সেবকরা সহায়তা করেন। স্থানীয় বাসিন্দা সুজন কুমার দাস বলেন, “এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আগে দেখিনি।
মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখায় সবকিছু পুড়ে গিয়েছে। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আসায় আরও বড় ক্ষতি থেকে এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত বাবুল চন্দ্র শীলের মেয়ে অর্পিতা রানী শীল বলেন, “আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।
এই আগুন আমাদের স্বপ্ন, আশ্রয়—আমার জীবনের অর্জন সার্টিফিকেট সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। এখন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব, সেটাই বুঝতে পারছি না।”
পটুয়াখালী আনসার ব্যাটালিয়নের সহকারী উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং ফায়ার সার্ভিস সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যায়। পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দেওয়ান মোহাম্মদ রাজিব বলেন, ‘খবর পেয়ে চারটি ইউনিট সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রাথমিক তদন্তের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা সংগ্রহের কাজ চলছে বলে জানান।