রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের ২৫ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কুয়াকাটায় রোটারি ক্লাব অব ঢাকা ফোর্টের শীতবস্ত্র বিতরণ বরিশালে মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে কথা বলায় সাংবাদিক নাদিম মাহমুদকে কুপিয়ে জখম হয়েছে বসন্ত ও ভালোবাসা বরনে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটক মেলা কলাপাড়ায় সুন্দরবন দিবসে নাগরিক সংলাপ ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত “স্পন্দন কলাপাড়া’র দাতা সদস্য কাজী নজরুল ইসলাম বায়োজিনের নতুন শাখার উদ্বোধন হলো বরিশালে কাফির বাড়ি পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় কলাপাড়া  থানায় মামলা কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত মুঠোফোন জব্দ করছেন বরিশাল সোনালী ব্যাংকের জিএম উজিরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্বারক উপহার পেলো মুহাইমিন শুভ গলচিপায় গোলখালী ইউনিয়নে ইমামদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ সরকারকে ৭ দিনের সময় দিলাম, বিচার না পেলে রাজপথে একা দাড়াবো……….. নুরুজ্জামান কাফি কলাপাড়ায় জমিসহ বাড়ীঘর জবর দখললের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ লেলিনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন সমাবেশ কলাপাড়ায় জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফির ঘর আগুনে পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা
কলাপাড়ায় চিকিৎসা সেবার বেহাল দশা। নিম্নমানের খাবারসহ জনবল সংকট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

কলাপাড়ায় চিকিৎসা সেবার বেহাল দশা। নিম্নমানের খাবারসহ জনবল সংকট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

Sharing is caring!

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাসহ জনবল চরম সংকটে। হাসপাতালে আসা রোগিরা বঞ্চিত হচ্ছেন যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে। একই দশা উপজেলার কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতাল ও মহিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের। সরেজমিনে দেখা গেছে, কলাপাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৩৫০ জন রোগি চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। মাত্র ৩-৪ জন চিকিৎসক তাদের অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে এ পরিমাণ রোগির চিকিৎসা সেবা দিতে পারেন না।

রোগিরা বাধ্য হয়ে ভিজিট দিয়ে অফিস সময়ের পরে বাইরে চেম্বারে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। ফলে দরিদ্র রোগিদের ভোগান্তির কোন শেষ নেই। একইভাবে ভর্তি হওয়া রোগির চাপও থাকছে অনেক বেশি।

উপজেলা সদরের এ হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, শয্যার চেয়ে ভর্তি হওয়া রোগির সংখ্যা বেশি। কলাপাড়া উপজেলা সদরসহ কুয়াকাটা এবং মহিপুর নিয়ে মাত্র ১১ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন উপজেলায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসককে অধিকাংশ সময় প্রশাসনিক নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এর মধ্যে একজন চিকিৎসক প্রেষণে পটুয়াখালী রয়েছেন। অথচ চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৩৬ জনের। কলাপাড়া উপজেলা সদরে মাত্র চারজন চিকিৎসক বহির্বিভাগে দৈনিক তিন থেকে সাড়ে তিন’শ রোগির চিকিৎসা সেব সামাল দিচ্ছেন।

যাতে একেজন রোগিকে সর্বোচ্চ ৫ মিনিট সময় দেওয়া সম্ভব নয়। চিকিৎসক সংকটে জরুরি বিভাগ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। একইভাবে কর্মচারীর ৭৬টি পদ খালি রয়েছে। সমস্যার যেন শেষ নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করাতে হয় আউটসোর্সিংয়ের জনবল দিয়ে।

একই দশা কুয়াকাটা হাসপাতালের। হাসপাতালে সরকারিভাবে টাইফয়েড, হেপাটাইটিস বি-সি, প্রেগনেন্সী, কিডনি, জন্ডিস, এইডস, ভাইরাস, এক্সরে, ডায়াবেটিকসহ অসংখ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা স্পমুল্যে করার সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু রোগিদের অভিযোগ, কতিপয় চিকিৎসক তাদের নিজেদের পছন্দের ক্লিনিকে পরীক্ষার জন্য পাঠান। তবে বেশ কিছু ওষুধপত্র রোগিরা বিনামূল্যে পেয়ে আসছেন।

কিন্তু এ বছরের জুন মাসের পর থেকে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জরুরি কিছু মেডিসিন ঠিকাদার সরবরাহ না করায় রোগিরা বঞ্চিত হচ্ছেন চিকিৎসা সেবা থেকে। হাসপাতালের বাথরুম-টয়লেট পরিচ্ছন্নতা নিয়েও রোগিদের অভিযোগ রয়েছে।

কতিপয় নার্স-আয়া, ক্লিনারদের বিরুদ্ধে রোগিদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কথা শোনা গেছে। রোগিদের খাবারের মান নিয়ে উঠেছে এন্তার অভিযোগ।

কলাপাড়া হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রোগি পারভিন জানান, চারদিন আগে সে ভর্তি হয়েছেন। কিছু ওষুধপত্র হাসপাতাল থেকে পাচ্ছেন। বাকিটা বাইরে থেকে কিনতেও হয়েছে। জানালেন, সকালে রুটি আর একটি কলা দেওয়া হয়েছে।

রাতে ও দুপুরে দেওয়া হয়েছে সেদ্ধ একটি করে ডিম আলুর ঝোলসহ রান্না করা। এমটাই চলে অধিকাংশ দিন। তবে দুপুরে বয়লার মুরগি রান্নার কথা জানালেন বাবুর্চি। কলাপাড়া হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার জেএইচ খান লেলিন জানান, খাবারের মান নিয়ে ঠিকাদারকে বহুবার সতর্ক করা হয়েছে। আবারও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন।

তিনি জানালেন, কলাপাড়া উপজেলা ছাড়াও পাশের আমতলী, তালতলী ও রাঙ্গাবালী উপজেলার অসংখ্য রোগি এই হাসপাতালে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। চিকিৎসক সংকটের কারনে আমরাও কঠিন ভোগান্তিতে আছি।

জরুরী ভিত্তিতে এখানে  চিকিৎসক ও কর্মচারীদের খালিপদ পুরন করার দাবি জানান তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন, হাসপাতালের বড় সমস্যা তিন ফেইজ বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা। সিঙ্গেল ফেইজ সংযোগ থাকায় লোডশেডিংএর কবলে পড়তে হয়।

জেনারেটর থাকলেও সবসময় জালানি সংকুলান দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না, আর্থিক সংকট রয়েছে। আর বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ভ্যাকসিন মান নিয়ন্ত্রণ করে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা অসম্ভব হয়ে ওঠে।

 

মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD