বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন
এস আল-আমিন খাঁন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পটুয়াখালী সদর থানার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড বিসিক এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর অপহরন মামলার ভিকটিম উদ্ধার অপহরনের সাথে জড়িত ২ জন আসামি গ্রেফতার এবং অপহরণের কাজে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো, মাহমুদুল হাসান (২৭), (২). আলী আজিম (৩০), আটককৃত মাহমুদুল হাসান পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের চৌরাস্তা এলাকার বাসিন্দা মৃত আঃ রাজ্জাক এর ছেলে অপরজন আলী আজিম পৌর শহরের ১ নং ওয়ার্ড টাউন জৈনকাঠী এলাকার বাসিন্দা মৃত আঃ মালেক এর ছেলে।
সোমবার ৯’ডিসেম্বর দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিং এ পটুয়াখালী পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ গণমাধ্যমকে জানান, গত রবিবার ৮’ডিসেম্বর দুপুরে ভিকটিম আমিরুল ইসলাম (৪৩) ও কূদ্দূস ঢালী (৫৫) পটুয়াখালী ডিসি অফিসের এলও শাখায় ভুমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপুরনের টাকা উওোলন করতে আসেন।
এলও শাখার কাজ শেষ করে দুপুর আনুমানিক আরাটার সময় কোর্ট সংলগ্ন আল-আমিন এর ভাতের হোটেলের সামনের রাস্তায় বের হলে ধৃত আসামিরা ভিকটিমদ্বয়কে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক অটো গাড়িতে উঠিয়ে চোখ বেঁধে অপহরন করে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে পরিবারের নিকট ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার দিন সন্ধ্যা আনুমানিক রাত সাড়ে নয়টার দিকে পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ড ইসলাম সড়কের মাথায় বিসিক মাঠ হতে ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধার করে এবং আসামি দুইজনকে আটক করে।
আটককৃত আসামিদের সঙ্গে আরও জড়িত রয়েছে কিনা জিজ্ঞেসবাদ চলছে শনাক্ত হলে গ্রেফতার প্রক্রিয়াধীন বলে জানান।
অপহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি অটো গাড়ি ও ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ এবং বাজাজ ১৫০ সিসির দুটি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভিকটিম আমিরুল ইসলাম বলেন, এলও শাখার কাজ শেষ করে দুপুরে বের হলে কোর্টের সামনে থেকে হঠাৎ মুখ চেপে ধরে অটো গাড়িতে উঠিয়ে চোখ বেঁধে অপহরণ করা হয়।
পরে মাগরিবের সময় মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে মুসল্লীদের ফোন থেকে আত্মীয় স্বজনদের সাথে কথা বলি এর আগে তার মুক্তিপন হিসেবে অপহরন ্কারীর ২০ লক্ষ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে পরিবারের স্বজনরা পুলিশের সহায়তায় বিসিক মাঠ থেকে উদ্ধার করে।