সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের দায়ে ১৬ জেলে আটক বরিশাল জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক আল ইমরান বিএনপির দলীয় পরিচয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকে হুমকি থানায় জিডি লাউকাঠীতে নদীর পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু সবুজ আকনের নেতৃত্বে সাম্যের খুনীদের বিচার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাউফলে এক প্রতারক পুলিশের হাতে আটক তারুণ্যের সমাবেশ উপলক্ষে বরিশাল মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভা কলাপাড়ায় যাত্রিবাহী বাস থেকে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির ৩০মন মাছ জব্দ বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা কলাপাড়ায় নদী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার কলাপাড়া বাজার আয়োজিত  ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন কলাপাড়ায় বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক সাড়ে ১২ মন মাছ জব্দ কলাপাড়ায় ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মেগা প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত ৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ
বরিশালের বাবুগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড

বরিশালের বাবুগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড

Sharing is caring!

ক্রাইমসিন ডেক্সঃ

বরিশালের বাবুগঞ্জের পাঁচ সন্তানের জননী বিধবাকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. রকিবুল ইসলাম এ রায় দেন বলে বেঞ্চ সহকারী কাজী মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- বাবুগঞ্জের ভুতেরদিয়া গ্রামের নরেন চন্দ্র শীলের ছেলে শয়ন চন্দ্র শীল (২১) ও একই গ্রামের মো. আতাহার ফকিরের ছেলে চা দোকানি সুমন ফকির (৩৫)। রায় ঘোষণার সময় তারা এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী জানান, ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি ভুতেরদিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে কিছু দুরে সন্ধ্যা নদী থেকে পাঁচ সন্তানের জননী মরিয়ম বেগমের বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় মেজ ছেলে ইমরান হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক অলিউল ইসলাম ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

বিচারক ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় দিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক অলিউল ইসলাম বলেন, শয়ন চন্দ্র শীল ও সুমন ফকির গ্রামের ছিঁচকে চুরিসহ নানা অপরাধমূলক কাজ করতেন।

ধর্ষণ ও হত্যার শিকার মরিয়ম বেগমের এক সন্তানের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। এ সুবাদে মরিয়মের বাসায় যাতায়াত ছিল সুমনের। ঘটনার রাতে ছোট ছেলেকে মেয়ের কাছে পাঠান মরিয়ম।

এ বিষয়টি দেখেন চায়ের দোকানি সুমন। পরে তিনি শয়নকে ডেকে এনে ওই নারীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতেই তার ঘরে যান তারা।

এ সময় ওই নারী দরজা না খুললে বেড়া ভেঙে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন শয়ন ও সুমন। ওই নারী বিষয়টি সবাইকে জানানোর কথা বললে লাঠি ও বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করে নদীতে মরদেহ ফেলে দেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD