বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সেনের হাওলায় মিজানুর রহমান নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকের পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার কালাম জোমাদ্দারের পুত্র রাকিব জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা বিএনপি অফিস এবং রাঙ্গাবালী থানার সরনাপন্ন হয়েও বিচার পাননি ভুক্তভোগী শিক্ষক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাঙ্গাবালী সেনের হাওলা নিবাসী রাকিব জোমাদ্দার অবৈধভাবে একই গ্রামের আসমান আলী হাওলাদারের পুত্র, মোঃ মিজানুর রহমান এর পুকুরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫,০০০/- সিএফটি বালু উত্তোলন করেছেন এবং বর্তমানেও উত্তোলন কাজ চলছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান রাঙ্গাবালী থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ জানালে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ০১ দিনের জন্য বালু উত্তোলন বন্ধ রাখেন। পরবর্তীতে আবার বালু উত্তোলন কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও জানা গেছে, রাকিবুল ইসলাম এলাকার প্রায় ৩০ জন লোকের কাছ থেকে ৩,০০,০০০/- তিন লক্ষ টাকা আগাম গ্রহন করে বিভিন্ন সময় পুকুর ভরাটের জন্য বালু উত্তোলন করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষকতা করার সুবাদে আমি রাঙ্গাবালী উপজেলা শহরে থাকি। এই সুযোগে গ্রামের বাড়ির পুকুর থেকে অবৈধ ভাবে রাকিব জোমাদ্দার বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন।
৪ দিন পরে জানতে পেরে আমি যুবদল সভাপতি মাইকেল তালুকদার এর কাছে যাই। এবং রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপিকে অবহিত করি। সেখানে বিচার না পেয়ে পরবর্তীতে রাঙ্গাবালী থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করি।
ছানার এএসআই বিশ্বজিৎ এসে ড্রেজার বন্ধ করে দেয়। কিন্তু একদিন পর পুনরায় আবার বালু উচ্চারণ শুরু করে। আমি বাধা দিলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি বিহিন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের সহায়তা চান তিনি।
অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ সোহরাব খান এবং জয়নাল খান এর কাছ থেকে লিজ নিয়ে বালু উত্তোলন করছি। কাগজপত্রে যার সত্যতা মেলেনি।
রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মাইকেল হোসেন তালুকদার জানান, মিজানুর রহমান মাস্টার তার পুকুর থেকে ভাল উত্তোলন করছে এমন একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। আমি রাকিব জমাদ্দারকে ভালো উত্তোলন করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি বলেছেন এ জমি আমি লিজ নিয়েছি।
রাঙ্গাবালী থানার এ এস আই বিস্বজিৎ চন্দ্র জানান, মিজানুর রহমানের অভিযোগ পেয়ে স্পটে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে এসেছিলাম। পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মোয়াজ্জেম হোসেন
পটুয়াখালী