বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় বাতিঘর সংগঠনের দেড় হাজার তালের বীজ রোপণ সৈকতে নারী পর্যটকদের গোসলের ভিডিও ধারন, কন্টেন্ট ক্রিয়টরের ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড সাড়ে চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় ১২ গ্রামের ফসলহানির শঙ্কা কলাপাড়ায় নানা আয়োজনে বিশ্বকর্মা পূজা উদযাপিত কলাপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ভুয়া ডাক্তারকে এক মাসের কারাদণ্ড গ্লোবাল উইক অব ক্লাইমেট একশনস’র মানববন্ধন ও সভা কুয়াকাটায় অজ্ঞাত ব্যাক্তির অ/র্ধ/গ/লি/ত ম/র/দে/হ উদ্ধার কাশীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত বরগুনায় লজিক প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত সবুজ ছাতিম রোপণের মধ্যে দিয়ে পটুয়াখালীর নতুন ডিসির যাত্রা একাদশ শ্রেণীর ২০২৫-২৬ শিক্ষার্থীদের নবীন বরন অনুষ্ঠিত দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার আগ পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক দল রাজপথ ছাড়বেনা কুয়াকাটা পৌর জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের  কমিটি গঠন কলাপাড়া প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত কমিটিকে সংবর্ধিত করেছে কলাপাড়া পুস্তক ব্যাবসায়ী সমিতি
টাকা ছাড়া দেখা যায় না সন্তানের মুখ

টাকা ছাড়া দেখা যায় না সন্তানের মুখ

Sharing is caring!

শামীম আহমেদঃ
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) এমবিবিএস ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত রহমান বলেন,
শেবাচিমে কোন শিশুর জন্ম হলে টাকা ছাড়া নবজাতকের মুখ দেখতে পারে না বাবা – মা।

প্রতিটি পদে পদে দালালদের টাকা দিতে হয় এবং একটা সিন্ডিকেট পরিচালকদের থেকে শুরু করে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণে সেনাবাহিনীর কোনো কর্মকর্তাকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া উচিত। তিনি
আরো বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস্থা আমাদের চেয়েও খারাপ ছিল।

সেখানে সেনবাহিনীর সদস্যকে দায়িত্ব দেবার পর সেবার মান আমূল পাল্টে গেছে। এমন উদাহরণ আরো আছে।

তাই দক্ষিণাঞ্চলের সেবাপ্রত্যাশী কোটি মানুষের কথা চিন্তা করে একজন সেনাবাহিনীর একজন দক্ষ ব্যক্তিকে শেবাচিমে দেয়া উচিত। গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর)  ইন্টার্ন
চিকিৎসক ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (শেবাচিম) পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম পদত্যাগ করেন।

এরপর থেকেই সংশ্লিষ্টদের মাঝে সেনাবাহিনী থেকে পরিচালক নিয়োগের
দাবি উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে এ সংক্রান্ত পোস্টার এবং ব্যানার লাগানো দেখা যায়।

মূলত হাসপাতালকে অনিয়ম – অব্যবস্থাপনার হাত থেকে রক্ষা করতেই এমন
দাবি করছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটি অংশ।

তবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি হাসপাতাল পরিচালনার সঙ্গে জড়িত প্রশাসনের উর্ধতন
কেউ। এমবিবিএস ৫ম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিগত দিনগুলোতে দেখা গেছে যে
চিকিৎসকেরা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে তারা সিন্ডিকেট নির্ভর হয়ে পরেছিলেন।

সেসব সিন্ডিকেটের সঙ্গী হয়ে নানা অনিয়ম – বিতর্কের জন্ম দিলেও হাসপাতালের কাঙ্ধিসঢ়;ক্ষত উন্নয়ন ঘটাতে পারেন নি তারা।

তাই আমরা এবার পরিচালক হিসেবে একজন সেনা কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেবার দাবি জানাই। ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. হেদায়েত উল্লাহ জানান, হাসপাতালে বিগত দিনে যেমন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তাহীনতার চিত্র দেখা গেছে তার পুনরাবৃত্তি
কেউই চায় না।

যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়োজিত করে
চোখে পরার মতো উন্নয়ন ও সংস্কার হয়েছে তাই শেবাচিমেও একজন সেনা কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি তাদের।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD