শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্সঃ
শনিবার সকাল থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে প্রথমে সরকারী বিএম কলেজ ও পরবর্তীতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ।
বিকেল ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা মিছিল সহকারে নগরীর চৌমাথা এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখানে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ শেষে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হলে কর্মসূচীর শেষের দিকে হঠাৎ পুলিশের উপর চড়াও হয়।
এসময় পুলিশ সদস্যদের খাবার বহনকারী একটি পিকআপ ভাংচুর শেষে তাতে অগ্নিসংযোগ করে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃষ্টির মধ্যে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর সদস্যদের খাবারের গাড়িটি চৌমাথা এলাকা অতিক্রমকালে দ্রুত গতি থাকায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
এসময় আন্দোলনকারীরা গাড়িটি ঘিরে ধরলে অতি উৎসাহীরা ভাংচুর শুরু করে এবং পাশর্^বর্তী ট্রাফিক পুলিশেরও একটি বক্স ভাংচুর করে। গাড়িতে থাকা পুলিশ সদস্যরা দৌড়ে পাশর্^বর্তী মারকাজ মসজিদে আশ্রয় নিলেও ৪ এপিবিএন সদস্য আটকা পরে। পরে তাদের মারধর করে পোষাক খুলে রাখা হয় এবং তাদের পোষাক সড়কের উপরে বিদ্যুতের লাইনে ঝুলিয়ে রাখা হয়। আহত এপিবিএন সদস্যরা হচ্ছেন এসআই নেয়ামত খান, কনস্টেবল সিফাত, হাসনাত ও রিয়াজ। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সিফাতকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের শান্তিপূর্ন কর্মসূচী চলাকালে পুলিশের একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে আসলে তাতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। কিন্তু পুলিশের গাড়ি ভাংচুর কিংবা মারধর শিক্ষার্থীরা করেননি বলে দাবী তাদের। স্থানীয় কিছু অপরিচিতরা এ কর্মকান্ড করলে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে সরে যায়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ইত্তেফাককে জানান, বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন যে শিক্ষার্থীরা এ কর্মকান্ড করেনি। শিক্ষার্থীরাও জানিয়েছেন তারা ভাংচুর করেননি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।