রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন
এস আল-আমিন খাঁন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পটুয়াখালীতে প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে মাহমুদুল হাসান নামে সহকারী শিক্ষিকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা ঐ শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে ০৩ জুলাই বুধবার দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মাহমুদুল হাসান পৌর শহরের দারুল কুরআন মাদ্রাসার মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে ঐ শিশুর পিতা বলেন, গত ৯ জুন বেলা এগারোটার সময় দারুল কুরআন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং প্রধান শিক্ষক আহম্মদ কবির ও সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান প্রথম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসার তৃতীয় তলার একান্ত রুমে ডেকে নিয়ে শিক্ষক মাহমুদুল হাসানের পুরুষাঙ্গে তৈল মেখে ঐ শিশুকে জোড় পূর্বক ম্যাসেজ করান এবং যৌন কর্ম করেন। পরে ঐ শিশু কান্নাকাটি করলে তাকে মারধর করেন শিক্ষক মাহমুদুল হাসান। মারধরে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে কোন চিকিৎসা না করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় মাদ্রাসার পরিচালক আহম্মদ কবির ও সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান।
এমনকি ঐ শিশুর পরিবারকে না জানিয়ে উল্টো কোন কিছু না বলার জন্য শিশুটিকে হুমকি দেন। গত ১২ জুন শিশুটি কুরবানিতে বাড়ি গেলে অসুস্থ হয়ে পরে এবং শিশুটির মা জিগ্যেস করার একপর্যায়ে তার সাথে ঘটে যাওয়া পুরো বিষয়টি খুলে বলেন।
এদিকে শিশুটির পিতা কর্মস্থলে থাকায় তার মা ১৫ জুন চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে এঘটনায় ঐ শিশুর পিতা বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে দারুল কুরআন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক আহম্মদ কবির এবং সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসানকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
যার মামলা নং ৩৫১। এঘটনায় ১লা জুলাই বিজ্ঞ ট্রাইবুনাল মামলাটি এজাহার হিসাবে নেয়ার জন্য পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসিকে নির্দেশ দেন। বর্তমানে দারুল কুরআন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক আহম্মদ কবির এবং সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান মামলা হওয়ার পরই পলাতক রয়েছে বলে জানান আরেক সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দিন। এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ জসিম কে একাধিক বার তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি তা রিসিভ করেনি।