রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাউফলে পূর্ব শত্রুতার জেরে আপন বড় চাচাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন ভাতিজা মাওলানা জাকির এর বিরুদ্ধে।
জাকির নাজিরপুর ইউনিয়নের ছোট ডালিমা গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক মুন্সির ছেলে। রবিবার সকালে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ছোট ডালিমা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ধর্মীয় লেবাসধারী এই কথিত আলেম জাকিরের এমন অপকর্মে উপজেলা জুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়।
লেবাজদারি মাওলানা ও মুফতি দাবি করা জাকির ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ চাচাকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার ঘটনাকে একটি জঘন্য অপরাধ হিসেবে দেখছেন স্থানীয় সচেতন সমাজ। জানা গেছে, ছোট ডালিমা গ্রামের ফারুক মুন্সী ও তার সহোদর সামছুল হক মুন্সীর সাথে জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয় দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
ঘটনার দিন সকালে ফারুক মুন্সীর নিজ বসতঘর থেকে বাহওর বের হয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় মাওলানা জাকির ও তার ছোট ভাই জসিম মামাতো ভাই হাসানসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী ওৎপেতে থেকে চাচা ফারুক মন্সীকে পেছন থেকে হামলা চালায় এসময় ফারক মুন্সি মাটিতে লুটিয়ে পরলে শক্ত গাবের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পেটাতে থাকে তার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে হত্যা চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে আহত ফারুক মুন্সীকে ফেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরে স্থানীয়রা ফারক মুন্সিকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করান।
বর্তমানে আহত ফারক মুন্সি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান হামলাকারী জাকির ও তার সহযোগী জসিম, হাচান সহ আটজনকে আসামি করে বাদী আহত ফারক মুন্সি বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গাইন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের তেমন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
তাই সচেতন মহলের দাবি অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার।
তানা হলে আইনের শাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা হারাবে।
সূত্রমতে, বৃদ্ধচাচাকে মেরে হাসপাতালে পাঠানোর ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন কথিত আলেম নিজেকে মুফতি ও মাওলানা দাবী করা জাকির হুসাইন।
তার মুফতি সনদ নিয়ে আছে জনমনে সন্দেহ। কথিত এই আলেম চেয়ারম্যান বাড়ি বায়তুল মামূর জামে মসজিদ ঢাকার ইমাম ও খতিব হিসেবে নিজেকে প্রচার করছেন।
তবে তার চারিত্রিক নানান নেতিবাচক দিক থাকায় নিজের এলাকার মসজিদে জাকিরের পেছনে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ নামাজও পড়তে চায় না বলে জানা গেছে। কথিত লেবাসধারী এই আলেমের ফোনে একাধিক অশ্লিল ভিডিও ও পর্ণ ছবি দেখেছেন এমন একজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, হাফেজ, মুফতি ও মাওলানা দাবী করা মানুষটির ফোনে এসব দেখে তার প্রতি শ্রদ্ধা কমে গেছে। মূলত: ধর্মের সাইনবোর্ড টানিয়ে তিনি জীবীকা নির্বাহ করেন।
তিনি আদর্শ মাওলানা হলে কখনোই নিজের ফোনে এসব খারাপ ভিডিও ও ছবি রাখতেন না। এছাড়া তার বেয়াদবি ও উগ্রতার কারণে এলাকার মানুষও তাকে পছন্দ করেন না। বিভিন্ন টেলিভিশনের ইসলামী আলোচক হিসেবে নিজেকে জাহির করলেও জাকির কোনো টিভিরই নিয়মিত আলোচক নন বলে জানা গেছে।
কথিত আলেম জাকির সম্পর্কে তার নিজের এলাকার মানুষদের বক্তব্য হচ্ছে নেতিবাচক, তারা বলছেন- জাকির জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত থাকতে পারে। কেননা ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার ওয়াজ করেন জাকির ।
এমতবস্থায় প্রশাসনের উচিত বৃদ্ধ চাচাকে আক্রমণ করা কথিত এই আলেমের জঙ্গি সম্পৃক্ততাও খতিয়ে দেখে আইনানুগ বিচার করা।
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, একজন ৭৫ বছরের বৃদ্ধকে একা পেয়ে আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগের মতো নির্মম নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
অবিলম্বে আক্রমণকারী কথিত ভন্ড লেবাসধারী মাওলানা জাকিরকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তার বিচারের বিলম্ব হলে বাউফল উপজেলার সচেতন মানুষ রাজপথে নেমে মানববন্ধন করতে বাধ্য হবে। প্রবিনের উপর অত্যাচার নির্যাতন কোনোভাবেই সহ্য করার সুযোগ নেই।