কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের মিলন মেলা বসেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সৈকতে হাজারো পর্যটকের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
তবে আগতদের মধ্যে বেশির ভাগই স্থানীয় পর্যটক।
আগতরা সৈকতের বালিয়া তে হইহুল্লোরে বিশেষ এ দিনটি উদযাপন করছে। অনেকে আবার সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসাচ্ছেন। কেউবা আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্রের বুকে আছড়ে পড়া ছোট বড় ঢেউ। পর্যটকদের ভীড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল মোটেলের কক্ষ।
তবে আগামীকাল থেকে দেশী বিদেশী আরো বেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
আগত নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।
পটুয়াখালী থেকে আসা পর্যটক মিলন মিয়া জানান, আজকে বাহিরের পর্যটক কম।
বেশীর ভাগই বরিশাল বিভাগের। আজকে এ অঞ্চলের পর্যটকদের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে।
বেঞ্চব্যবসায়ী আঃ রহিম জানান আজকে কুয়াকাটায় পর্যটকদের মিলনমেলা।
আগামীকাল লক্ষাধীক পর্যটককের আগমন ঘটবে।
হোটেল মোটেল ওনার এসোসিয়েশন’র সাধারণত সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ জানান, প্রায় হোটেলের ৮০ শাতাংশ রুম বুক হয়ে গেছ।
মহিপুর থানার ওসি মো: আনোয়ার তালুকদার বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের পুলিশ সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পর্যটকদের সেবায় আমাদের পৌরসভার টিম প্রস্তুত রয়েছে।পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটক বেড়েছে। ভা্ঙ্গা থেকে কুয়াকাটা মহাসড়ক ফোরলেন বাস্তবায়িত হলে আরো পর্যটক বাড়বে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আজকে ভাল পর্যটকের উপস্থিতি হয়েছে। আগামী কাল-পরশু কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামবে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলাপাড়া থানা,মহিপুর থানা,কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস, মেডিকেল টিম এবং স্কাউট সদস্যরা প্রস্তুত আছে।