শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ : পবিত্র ঈদ উল ফিতরের পর আজ শুক্রবার ( ০৭ জুন) বৃষ্টিবিঘ্নিত আবহাওয়ার মধ্য দিয়েও বরিশাল নদী বন্দরে রাজধানীমুখি মানুষের ভিড় বেড়েছে অনেকটাই। তবে তা আশানুরুপ নয় বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকরা। যদিও আগামীকাল শনিবার ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের মূল যাত্রীদের চাপ হবে বলে দাবী তাদের। তবে রবিবারও যাত্রীচাপ থাকতে পারে। আর যাত্রী চাপ বাড়লেও নিরাপদ যাত্রায় কোন বিঘ্নতা ঘটবে না দাবী করে তারা জানান, যাত্রীচাপ বাড়ার সাথে সাথে লঞ্চের সংখ্যাও বাড়বে। বরিশাল নদী বন্দর সূত্রে জানাগেছে, ঈদের পরেরদিন গতকাল ৫ টি করে লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দর থেকে সরাসরি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও আজ যাচ্ছে ১০ টি। এছাড়া সরকারি জাহাজ ও ভায়া রুটের আরো বেশ কয়েকটি লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দর হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে আজ। বরিশাল নদী বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার বিকেল থেকেই লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে লঞ্চগুলোর ডেকের যাত্রীরা অবস্থান নিয়ে নেয়ায় অনেকটাই পরিপূর্ণ গেছে তা। তবে কিছু লঞ্চে সন্ধ্যার পরেও ডেকে তেমন একটা যাত্রী দেখা যায়নি। যদিও আজ প্রায় সকল লঞ্চের ক্যানভাসারদের গানের ছন্দে যাত্রীদের আকর্ষন করে ডাকাডাকি করতে দেখা গেছে। অপরদিকে স্পেশাল সার্ভিসের আওতায় আজকের দিনের লঞ্চের কেবিন আগে থেকেই বুকিং হয়ে যাওয়ায় কোন কেবিন খালিও নেই। তাই যারা এ মুহুর্তে কেবিনের জন্য ঘাটে আসছেন তারা কেউ জরুরী প্রয়োজনে ফেরত দিলে তা পাচ্ছেন, নয়তো ডেকেই যেতে হচ্ছে তাদের। তবে ধারনক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বরিশাল নদী বন্দর থেকে কোন লঞ্চ ছাড়তে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার। তিনি জানান, নিরাপদ যাত্রার লক্ষে লঞ্চ মালিক, মাষ্টার-ড্রাইভার ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের সাথে ঈদের আগেই সভা ও মোটিভেশন ওয়ার্ক করা হয়েছে। সে অনুযায়ী লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী না তোলা, মাষ্টার ব্রিজ যাত্রীদের কাছে ভাড়া না দেয়াসহ নানান সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা ও বন্দর এলাকায় যাত্রীসহ সকলের সচেতনতায় মাইকে প্রচারনা করা হচ্ছে। এদিকে যাত্রীদের ভিড় বাড়ার পাশাপাশি পুরো বন্দর এলাকাজুড়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা জোড়দার করা হয়েছে। বন্দর এলাকার নিরাপত্তায় নৌ-পুলিশের পাশাপাশি, কোতোয়ালি থানা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, র্যাব, কোষ্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও আনসারের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। যাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের সেবার মধ্যে স্কাউটদের সহায়তায় বন্দর এলাকায় শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা হচ্ছে। বরিশাল থেকে আজ ঢাকার উদ্দেশ্যে সুরভী, সুন্দরবন, পারাবত, কীর্তনখোলা, এ্যাডভেন্সার, টিপু, মানামীসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানীর ১০ টি লঞ্চ সরাসরি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে নদী বন্দরের টার্মিনাল ভবন ও পল্টুন এলাকায় হকার এবং ধুমপায়ীদের পদচারনায় অতিষ্ট হয়ে পরেছেন যাত্রীরা। হকারদের কারনে তারা পল্টুনে অবস্থান নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে শুক্রবার ভোররাতে দুরপাল্লার লঞ্চ টার্মিনালে বার্দিং করতে গিয়ে এমএল বনানীসহ অভ্যন্তরীন রুটের ২ টি লঞ্চ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে, সকাল থেকে থেমে থেমে বরিশালে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বিকেলের পর গুরিগুরি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছনবন থাকায় রাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।