সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
এস আল-আমিন খাঁন পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগন্জ্ঞে জোরপূর্বক জমি দখল ও ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে দক্ষিন মির্জাগন্জ্ঞ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম সিকদার গং এর বিরুদ্ধে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার প্রথমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করেন যাহার নং- এম,পি ২২৯/২২. উক্ত মোকদ্দমার ধারা-১৪৪/১৪৫. ভুক্তভোগী পরিবার জানান বিবাদীদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শোকজ করা হলে তারিখের দিন বিবাদীরা হাজির না হয়ে দলবল নিয়ে জোরপূর্বক জমির পাঁকা ধান কেটে নিয়ে যায়।
এসময় বাঁধা দিতে গেলে মারধর ও নারীদের কাপড় চোপড় টেনে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়। উপজেলার ২ নং মির্জাগন্জ্ঞ ইউনিয়নের দক্ষিন মির্জাগন্জ্ঞ গ্রামে ৩১-ডিসেম্বর-২০২২ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকা হইতে দুপুর আনুমানিক ২ ঘটিকার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সুলতান খাঁন (৪২), পিতাঃ মৃত মনিন খাঁন বাদী হয়ে মির্জাগন্জ্ঞ উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা ১০ জনকে আসামি করে একটি- সি,আর মামলা দায়ের করেন, মামলা নং- ১/২৩, যাহার ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৪২৭/৪৪৮/৩৭৯/৩৫৪/৩২৩/৫০৬ দঃ-বিঃ। আসামিরা হলেন, (১). সালাম সিকদার (৫৫), (২). সেলিম সিকদার (৫২), (৩).নুরুল ইসলাম সিকদার (৬০), (৪). সোলায়মান সিকদার (৬৫). উভয় পিতাঃ মৃত ইয়াকুব আলী সিকদার, (৫). পরেন্জ্ঞ সিকদার (২৪), পিতাঃ নুরুল ইসলাম, (৬). ফজলে সরদার (৪৫), পিতাঃ মৃত মুনসুর সরদার, (৭). রফিক হাওলাদার (৩৫), পিতাঃ আলম হাওলাদার, (৮) আজাহার সিকদার (৪৫), পিতাঃ মৃত সেকান্দার সিকদার, (৯). সেরাজ মল্লিক (৫৫), পিতাঃ মৃত আজাহার মল্লিক, (১০). জাহাঙ্গীর মল্লিক (২৫), পিতাঃ সেরাজ মল্লিক। মামলা সুত্রে, আসামিরা ভুমি দস্যু, দাঙ্গা, হাঙ্গামাকারী লাঠিয়াল সরদার, মাস্তান ও গুন্ডা প্রকৃতির লোক। এলাকায় অন্যের জমি দখল, চাঁদাবাজি, সাধারন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলার হুমকি দেয়া সহ নানান অভিযোগ রয়েছে।
আসামিরা দেশীয় অস্ত্র রামদা, দাও, লোহার রড, কাচি সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ঘটনার দিন ভুক্তভোগীদের ১.০৪ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে নিয়ে যায়। যাহা মৌজা-মির্জাগন্জ্ঞ, জে,এল নং-৩৬, এস,এ, খতিয়ান নং-২০২, দাগ নং- ৬৩৪৫, জমির পরিমান-১৩.০০ শতাংশ, দাগ নং- ৬৩৪৬, জমির পরিমান-৪৪ শতাংশ, ৬৩৪৭ দাগে-৩৬ শতাংশ, ৬৩৪৮ দাগে-১১ শতাংশ, মোট ৪ দাগে মোট জমির পরিমান- ১৩+৪৪+৩৬+১১= ১.০৪ শতাংশ। উক্ত জমি ভুক্তভোগীর দাদা, চাচা, ফুফু, দাদীর রেকর্ডিং সম্পত্তি।
ওয়ারিশদ্বয়গন দীর্ঘদিন সম্পত্তি ভোগ দখলে থাকিয়া চাষাবাদ করিয়া আসছেন। ঘটনার দিন গত ৩১ ডিসেম্বর আসামিরা ১.০৪ শতাংশ জমির ৩০ মন পাকা ধান জোরপূর্বক কাটিয়ে নিয়ে যায় বলে মামলায় উল্লিখিত।
এছাড়াও ১ নং আসামি সালাম সিকদার এলাকায় রাস্তা দেয়ার কথা বলে লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন, কার্ডের জমি রেকর্ড করে দেয়ার কথা বলে নল প্রতি ১০০০ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ সহ নারী কেলেংকারীর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ও ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সালাম সিকদার এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এরা এলাকায় মূর্খ লোক এদের কথায় কান দিয়ে লাভ নেই। এক সময় আমাদের বাড়িতে কাজ করতো এখন একটু অবস্থান ভালো হওয়ায় উল্টাপাল্ট করছে। তিনিও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, পুলিশ তাকে ধান নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন বলে জানান। আদালতে মামলা হলে যদি তারা জমি পায় দিয়ে দিবো বলে জানান।