বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী বনফুল আবাসন সংলগ্ন একটি ছোট খাল থেকে দু’টি মাথা ও দু’টি চামড়াসহ প্রায় পাঁচ মণ হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এসময় হরিণ ধরা ফাঁদসহ একটি ছোট ইঞ্জিনচালিত ট্রলার জব্দ করা গেলেও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার (১৮ মে) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে বনবিভাগের চরলাঠিমারা বিটের কর্মকর্তা বদিউজ্জামান খান সোহাগের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এগুলো জব্দ করা হয়।
বিট কর্মকর্তা বদিউজ্জামান খান বলেন, বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী চরলাঠিমারা বনফুল আবাসন সংলগ্ন একটি ছোট খালে হরিণের মাংস নিয়ে অবস্থান করছিল পাচারকারীরা। ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে এলাকাবাসী টের পেয়ে ঘটনাস্থলের কাছে যাওয়া মাত্রই ট্রলারে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। পরে বনবিভাগের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাংস ও ট্রলার জব্দ করে। পরে পাথরঘাটা থানায় খবর দিলে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। এসময় ওই ট্রলারে দু’টি চামড়া, দু’টি মাথাসহ প্রায় পাঁচ মণ মাংস থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে আটটি হরিণ জবাই করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, কোস্টগার্ডের মাঝি ইলিয়াসের বাবা আব্দুর রহমান শিকদার এলাকায় হরিণ পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত। ওই ট্রলারটি আব্দুর রহমান শিকদারের বলে এলাকাবাসী নিশ্চিত করেছেন। দুই বস্তা হরিণ ধরা ফাঁদসহ ট্রলারটি বনবিভাগের জিম্মায় রয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মাংসগুলো মাটি চাপা দেওয়া হবে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার সাব লেফটেন্যান্ট জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সরেজমিনে যাই। মাংসসহ জব্দ হওয়া ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটি কোস্টগার্ডের মাঝি ইলিয়াসের বাবার আব্দুর রহমান শিকদারের বলে তিনি নিশ্চিত করেন।