বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ৩৩ নম্বর পশ্চিম চরলাঠিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭৬ টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. ফাইজুল কবির ওই মামলাটি করেন। পরে আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাকারী ফাইজুল কবির ৩৩নং পশ্চিম চরলাঠিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুলে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ৪ লাখ ৫১ হাজার ১৫০ টাকা সরকারি বরাদ্দ আসে। বরাদ্দের টাকা বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফাইজুল কবির ও প্রধান শিক্ষক শহিদুর রহমানের যৌথ ব্যাংক হিসাবে পরিচালিত হয়। ওই ব্যাংক হিসাব থেকে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির ফাইজুল কবিরের স্বাক্ষর জাল করে প্রধান শিক্ষক ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭৬ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। যা সরকারি বিধি বহিরভূত।
স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফাইজুল কবির বলেন, প্রধান শিক্ষক শহিদুর রহমান আমার স্বাক্ষর জাল করে স্কুলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপজেলা শিক্ষা অফিসে দাখিল করেছেন। এ ঘটনাসহ চেক জালিয়াতির বিষয়টি পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হলেও তিনি এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুর রহমান বলেন, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফাইজুল কবির বিভিন্ন সময় তাকে লাঞ্চিত করেছেন। তাছাড়া তিনি সরকারি বরাদ্ধের টাকার একটি অংশ দাবি করতেন। ওই টাকা আমি না দেওয়ায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি মামলা করেছেন। আবার মামলা করার পরেও রোববার (১১ ডিসেম্বর) শিক্ষকদের সামনে সভাপতি ফাইজুল কবির আমাকে মারধর করেছেন।
এদিকে প্রধান শিক্ষককে মারধরের বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন ওই স্কুলের একাধিক সহকারী শিক্ষকরা।
ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা টি এম শাহ আলম বলেন, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফাইজুল কবির বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আদালত আমাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ওই মামলার অভিযোগে আমাকেও জড়ানো হয়েছে। তাই এ মামলার তদন্ত করা উচিত হবে না। তাই আগামী ধার্য তারিখে আদালতের কাছে তদন্তের নারাজি দিয়ে আবেদন করা হবে।