শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: ভোলায় চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সেমবার (১২ ডিসেম্বর) আছিয়া বেগম (৩৫) নামে প্রসূতির মৃত্যু হয়।
ভোলা সদরের ডায়াবেটিকস হাসপাতালে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
মৃত আছিয়া সদরের শিবপুর ইউনিয়নের জেলে আবদুর রহমানের স্ত্রী। চিকিৎসকর অবহেলায় রোগীর এমন মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীরা স্বজনরা। তবে চিকিৎসকের দাবি হার্ট অ্যাটাকে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রোগীর স্বজনরা জানান, রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাতে আছিয়া বেগমের সিজারিয়ান অপারেশন করেন গাইনি চিকিৎসক ডা. আফরোজা বেগম। অপারেশনের পর একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। সিজারিয়ান সম্পন্ন হলেও রাত থেকেই রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে সেই রোগীকে কোনো চিকিৎসা করেনি ডাক্তার বা হাসপাতালের কোন স্টাফ। সকালে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে রেফার করলে পথেমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
রোগীর স্বামী আবদুর রহমান বলেন, সিজারের পর আমাদের কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি, তারা রোগীর চিকিৎসায় অবহেলা করেছে। হাসপাতালেই রোগীর মৃত্যু হলেও তারা তা বুজতে না দিয়ে বরিশালে রেফার করেছে।
রোগীর স্বজন জিন্নাহ বলেন, রোগীকে সরকারি হাসপাতালে সিজার করানোর অনুরোধ করলেও তারা ভোলা ডায়াবেটিকস হাসপাতালে সিরাজ করায়, তারপর থেকে রোগীর খিঁচুনি উঠে, রোগী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তাকে আইসিইউ লাগবে বলে বরিশাল রেফার করে।
হাসপাতালের অটি ইনচার্জ ইসমাইল বলেন, সিজারের পর রোগী অসুস্থ্য ছিলেন। সকালে হঠাৎ আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে তাকে আমরা জরুরি অক্সিজেন এবং আইসিইউতে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ ভোলাতে এমন সুবিধা নেই। আমাদের এখানে থাকা অবস্থায় রোগী সুস্থ ছিলো। সিজারের পর কোন সমস্যা ছিলো না।
অভিযোগের ব্যাপারে গাইনি চিকিৎসক ডা. আফরোজা বলেন, অপারেশন সফলভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। ভূল চিকিৎসা বা অবহেলায় তার মৃত্যু হয়নি। আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি তাকে।
তিনি আরও বলেন, রোগী কিছুটা বয়স্ক ছিলো, এটা তার পঞ্চম সন্তান। বয়স্ক মানুষের হার্ট অ্যাটাক ঝুঁকি থাকে, হয়ত সেভাবেই তার মৃত্যু হতে পারে। কারণ, শুনেছি রোগী বিছানার মধ্যেই মলত্যাগ করেছিলো।