সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫১ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: ১০ লক্ষ টাকা দিয়েও স্বামীর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত ও সুখ কিনতে পারলোনা স্ত্রী ইসরাত জাহান মিতু, যৌতুকের জন্য নির্যাতিত অতপর পরকীয়া প্রেমে আসক্ত স্বামী নারীসহ বরগুনায় আটক স্বামী ফায়ার সার্ভিসকর্মী এনামুল হক (মনি) কালিকাপুর ইউনিয়নের বহলগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা হানিফ ফকিরের ছেলে।
সে বরগুনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এ কর্মরত রয়েছে। দাপ্তরিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বরগুনা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হলেও পরকীয়া প্রেমিক প্রেমিকার বাড়ি পটুয়াখালীতে। সেই সুত্রে মিমাংসার জন্য পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়। জানাগেছে , চাকরিতে যোগদানের পুর্বে শশুর বাড়ি থেকে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক গ্রহন করে ফায়ার সার্ভিসকর্মী এনামুল হক মনি, গত, ২০১৯ সালে বিয়ে ইসরাত জাহান মিতু (২২) এর সঙ্গে। যৌতুক ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে ৩ বছর পার করার পরে অবৈধ পরকীয়া প্রেমিকা সহ বরগুনায় আটক হয় গত, ২৭’নভেম্বর।
পরে অবৈধ প্রেমিকাকে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিদায় করার প্রস্তাবে স্ত্রীর ইসরাতের নিকট টাকা ২ লক্ষ টাকা দাবি করে, সেই দাবি পুরন না করতে পারায় স্ত্রী ও তার আত্মীয় স্বজনদের ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনেই মারধর ও হুমকি দেয়া হয় এনামুল ও তার আত্মীয়রা। দুঃখের বিষয় স্ত্রী মিতুকে কোন প্রধান্য না দিয়ে অজান্তে অবৈধ প্রেমিকাকে সহ রাতের আধারে এনামুলকে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসের অফিস থেকে। অভিযোগের সত্যতা থাকা সত্বেও স্ত্রী মিতুর সঙ্গে কোন মিমাংশা না করেই ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অবৈধ প্রেমিকাকে সহ এনামুল হককে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে নানান গুঞ্জন।
এবিষয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা উপ-পরিচালক (এডি) আমিরুল ইসলাম সরকার ২৮’নভেম্বর বিকেলে বলেন, ২৭ নভেম্বর এনামুলের ঘটনায় আমরা উভয়ের মঙ্গলের জন্য থানা পুলিশের পরামর্শ নিয়ে ঘটনাটি মিমাংসার চেষ্টা করেছি ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরে ও মিমাংসা সম্ভব না হয়নি। এনিয়ে তাদের দাপ্তরিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান। পরের দিন ২৯’নভেম্বর তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমরা বরিশাল উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি যে মেয়েটিকে সহ এনামুলকে আটক করা হয়েছে, উভয়ের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তার স্ত্রীর সঙ্গে কোন মিমাংসা হয়নি ও দুই লক্ষ টাকায় একপাক্ষিক মিমাংসা করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, টাকা দিয়ে সমাধান হওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারেন না বলে জানান।
পরকীয়া প্রেমিকা মীম আক্তার (১৭+) তার বক্তব্যে বলেন, এনামুল বিবাহিত গোপন রেখে দেড় বছর পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে দৈহিক ও শারিরীক মেলামেশা করেছে। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে তাকে নিয়ে বরগুনার একটি ভাড়া বাসয় বসবাস শুরু করে তবে কোন রকম কলমা কাবিনা হয়নি তাদের। এক পর্যায়ে প্রতিবেদকের কাছে বলেন, ২ লক্ষ টাকা দিলে ব্যাপারটি মিমাংসায় যাবে সে। অন্যথায় স্ত্রীর নিকট যেতে চাইলে মামলা করবে বলে জানান। তার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের হাজীখালী গ্রামে।