রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: প্রদর্শনীর এক ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেল ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জার্সি। নেইমারদের এবারের জার্সির নকশা করা হয়েছে জাগুয়ার বা চিতাবাঘের পশমের আদলে। প্রাণীটিকে ব্রাজিলের সাধারণ মানুষের প্রতীক বলে ধরা হয়। ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জার্সি তৈরি করেছে জনপ্রিয় স্পোর্টস ব্র্যান্ড নাইকি। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভক্ত সমর্থকদের জন্য ব্রাজিলের অফিসিয়াল জার্সি বিশ্বব্যাপী বাজারজাত করবে এ প্রতিষ্ঠানটি।
‘ব্রাজিলিয়ানদের কাছে এই হলুদ জার্সি হলো পবিত্র। যখন আমরা এটি গায়ে দিই, অবশ্যই গর্ব অনুভব করি। তবে একই সঙ্গে তা দায়িত্ববোধও নিয়ে আসে। এটা সবাইকে অনুপ্রাণিত করে এবং রোমাঞ্চে ভাসিয়ে দেয়।’১৯৭০ সালের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল অধিনায়ক কার্লোস আলবের্তোর কথায় হলুদ জার্সির গুরুত্বটা বোঝা যায় স্পষ্ট।
ফুটবল বিশ্বকাপ যদি হয় দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ তবে সেই শো’র রোমাঞ্চকর অনুভূতি পেতে আপনাকে অবশ্যই গায়ে জড়াতে হবে আপনার প্রিয় দলের জার্সিটা। পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী দল ব্রাজিল তার ভক্ত সমর্থকদের কাছে কতোটা প্রিয় তারই প্রমাণ মিললো যেনো আরও একবার।
কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেদের অফিশিয়াল জার্সি উন্মোচন করেছিল ব্রাজিল। জার্সির নকশা সমর্থদের এতটা মন কাড়ে যে, প্রদর্শনীর জন্য উন্মোচিত সব জার্সি বিক্রি হয়েছে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই।
সেলেসাওদের এবারের জার্সির মূল আকর্ষণ জাগুয়ার বা আমেরিকান চিতাবাঘ। যা ব্রাজিলের সাধারণ মানুষের প্রতীক। জার্সির নকশা করা হয়েছে আমাজনের এই বিখ্যাত প্রানীর পশমের আদলে। তাদের হোম জার্সিতে চিরাচরিত হলুদের পাশাপাশি রয়েছে সবুজ রঙের ছোট কলার এবং নীল স্ট্রাইপ। আধুনিক নকশার অ্যাওয়ে জার্সিটি নীল রঙের হলেও রয়েছে সবুজ আর হলুদের ছোঁয়া। ২০০২ সালের বিশ্বকাপজয়ী জার্সির আদলে তৈরি করা হয়েছে সেলেসাওদের কাতার মিশনের জার্সিটি।
তবে আফিসিয়াল জার্সির জন্য ভক্তদের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জার্সি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকি জানিয়েছে- ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে তারা বিশ্বব্যাপী বাজারজাত করবে এ জার্সি। তাদের অনলাইন এবং অফলাইন শপে পাওয়া যাবে নেইমারদের হোম আর অ্যাওয়ে জার্সি।
২০০২ সালে সর্বশেষ নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল ব্রাজিল। দেখা যাক, ২০ বছর পর সে আদলে বানানো জার্সিতেই নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পারে কিনা ব্রাজিলিয়ান চিতারা।