শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি ভোলা : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় স্বামীর দায়ের করা প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেছেন স্ত্রী ঝুমুরা বেগম (২২)। মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বুধবার সকালে ভোলার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে বলে জানান বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শাহীন ফকির।
গ্রেপ্তারকৃত ঝুমুরা বেগম বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের দরুন বাজার, বাথানবাড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদ কাজীর মেয়ে। মামলায় বাদি বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের দালালপুর গ্রামের আল-আমিন মৃধা জানান, আসামি ঝুমুর চাকুরির সুবাধে আল-আমিন মৃধার মোহাম্মদপুর কাদেরাবাদ হাউজিং এর অফিসে যায়।
তখন তাকে চাকুরী দিয়ে সহায়তা করেন আল-আমিন মৃধা। তার অফিসে চাকুরীরত অবস্থায় ঝুমুরা বেগম আল-আমিন মৃধাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঝুমুরার প্রতারণার হাত থেকে বাচাঁর জন্য আলামিনের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় আল-আমিন মৃধাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন আল-আমিন মৃধা।
তিনি আরও অভিযোগ করে জানান, দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ঝুমুরা ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় মিথ্যা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি ঝুমুরার বাবাকে জানানো হলে তার বাবা আব্দুর রশিদ কাজী বিষয়টি আপোষ মিমাংসার কথা বলে আল-আমিন মৃধাকে বোরহানউদ্দিনের দরুন বাজারে ডেকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মাস্তান নিয়ে জোরপূর্বক কাবিননামায় স্বাক্ষর নেয় বলে অভিযোগ করেন বাদি আল-আমিন মৃধা।
তিনি আরও জানান, ওই সময় ঝুমুরা বেগম কেরানিগঞ্জের জুবায়ের আলম নামের এক যুবকের বিবাহিতা স্ত্রী। ও ৫ মাসের অন্তঃস্বত্বা। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার আপোষ মিমাংসার পরেও কোন সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আল-আমিন মৃধা ঝুমুরার বিরুদ্ধে গত ১৩ জুন প্রতারনার অভিযোগ এনে ঢাকার সিএমএম আদালতে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর ঝুমুরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত ঝুমুরা বেগমের নামে ১৯ জুলাই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পুলিশ স্ত্রী ঝুমুরা বেগমকে গ্রেপ্তার করে গতকাল ভোলার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।