রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য নতুন মন্ত্রিসভার মন্ত্রি-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা সততা রেখে চলবেন। কেউ যদি বিত্ত বৈভবের পেছনে ছুটেন, সেটা করতে পারবেন। কিন্তু সেটা করতে গেলে পচে যাবেন।’
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকাল ১০টায় শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগের মন্ত্রিসভার অনেক বড় পরিবর্তন এনে নতুন মন্ত্রিসভা করেছি। এর আগে কোনো মন্ত্রিসভায় এতো বড় পরিবর্তন আসেনি, কেউ এতো বড় পরিবর্তন করেনি। আমি নতুনদের মন্ত্রিসভায় এনেছি। আপনাদের ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে মন্ত্রিসভায় এনেছি, আশা করি আপনারা সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে প্রমাণ করবেন যে আপনাদের উপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস সঠিক ছিলো।’
বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়াকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর নামে মডেল সিটি করার প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের ২০টির মতো দেশে স্বাধীনতার নায়ক এবং জাতীয় নেতা যার নেতৃত্বে ওই সব দেশ প্রতিষ্ঠিত হয় সেসব দেশে তাদের নেতার নামে সিটি আছে।’
‘ভিয়েতনামে হো চি মিনের নামে হো চি মিন সিটি, যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ওয়াশিংটনের নামে ওয়াশিংটন সিটিসহ অনেক দেশেই জাতির পিতার নামে সিটি আছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কোনো সিটি নেই। বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গীপাড়াকে ঘিরে একটি মডেল সিটি করে বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ করা যেতে পারে।’
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গাড়িতে জাতীয় পতাকা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। সেই সঙ্গে তিনি বছরে একটি দিনকে প্রবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করারও প্রস্তাব দেন।
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই প্রস্তাবে দ্বিমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় পতাকা ব্যবহার কেন উন্মুক্ত করা হবে? এটা করে কি রাজাকারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে হবে।’
‘বরং আমি মনে করি, সবার গাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কেউ জাতীয় পতাকা ব্যবহার করবে না।’
বৈঠকে প্রায় সকল মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী তাদের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।