বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ন
এস এল টি তুহিন: শীতের শেষ আর গ্রীস্মের শুরুতে মৌসুম না হলেও বরিশালে এবার রেকর্ড পরিমানে বড় ইলিশ মিলছে। তবে অধিকাংশ ইলিশ মোহনায় ধরা পড়েছে। এসব মাছ মিঠা পানি পায়নি। তাই স্বাদ অনেকটাই কম হওয়ায় বেচাকেনায় বিব্রত ব্যবসায়ীরা।
গত বছর মার্চ মাসে নগরীর পোর্টরোড, চন্দ্রমোহন ও তালতলী ইলিশ মোকামে ইলিশ এসেছিলো সর্বোচ্চ দেড় হাজার মন। এবারে মার্চে মাসে ইলিশ এসেছে অন্তত চার হাজার মন। এর মধ্যে দেড় কেজি থেকে সোয়া দু কেজি ওজনের ইলিশ এসেছে অন্তত ১৬ শ মন। এটা গত দেড় যুগের মধ্যে রেকর্ড পরিমান বড় ইলিশ। গত বছর বড় ইলিশ এসেছিলো সর্বোচ্চ ২০ মন। মোকাম মালিকরা বলছেন, ইলিশের ঝাটকা, চাপিলা মারা সপূর্ণভাবে বন্ধ করা গেলে সারা বছর ধরে এমন ইলিশ পাওয়া সম্ভব।
নগরীর পোর্ট রোড, তালতলী ও চন্দ্রমোহন মাছ মোকামে অন্তত দেড় শ ইলিশ আড়ত আছে। প্রতি বছর এই সময়ে ইলিশ না থাকা এসব আড়তে তরমুজের বেচাকেনা হতো। এবারে অধিকাংশ আড়তে এখন পর্যন্ত ইলিশ বেচাকেনা হচ্ছে। তবে দাম বেশি ও স্বাদ কম হওয়াতে নগরীতে এর বেচাকেনা কম। বড় সাইজের প্রতিমন ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার টাকা মন দরে। খুচরা বাজারে দাম আরো বেশি।
মোকাম নেতাদের দাবি নদীর পানিতেও লবন আসায় ইলিশে স্বাদ মিলছে না। এ অবস্থায় ইলিশ গবেষকের দাবি হলো সাগর মোহনা থেকেই সব ইলিশ ধরা হচ্ছে বলে ইলিশ নদীর মিঠা পানিতে আসতে পারছে না। ইলিশ যত মিঠা পানিতে সাতার দেবে ততোই এর স্বাদ ও সাইজ আরো ভালো হবে। তাদের গবেষনা মতে প্রায় সব ইলিশ ধরা পড়ছে ঢালচরসহ সাগর মোহনায়। স্থানীয় নদীতে ইলিশ মিলছে না।
এদের দাবি এখন অসময়ে ইলিশ মিললেও মুলত ইলিশের এই মৌসুম হারিয়ে গিয়েছিলো, ইলিশ রক্ষা অভিযানের ফলেই তা ফিরে আসছে। এরা বলেছেন গত বছরও বরিশালে ৪১ হাজার টন ইলিশ আহরন হয়েছে এবং এবার তা ৫০ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করছেন ইলিশ কর্মকর্তা ও গবেষক ড বিমল চন্দ্র দাস।
গত পহেলা মার্চ থেকে বরিশালের সাত নদী নিয়ে গড়া ইলিশের অভয়াশ্রমে মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। তার পরেও ইলিশের এমন সমারহ ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি সচেতন সমাজের।