বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
প্রেসক্লাব পটুয়াখালী”‘র আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন সদস্য সচিব আল-আমিন ‎বরিশালে ইএসডিও এর আয়োজনে চাকুরী মেলা অনুষ্ঠিত বরিশালে স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম : উন্নত ব্যবস্থায় বেড়েছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কলাপাড়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত ইসলামীক রিচার্স সেন্টার বাস্তবায়নের দাবিতে মুসলিম ইনস্টিটিউটের মানববন্ধন সততা, আচরণ ও প্রচারণায় বাবুগঞ্জ–মুলাদীবাসীর আস্থায় জহির উদ্দিন বাবর কলাপাড়ায় থেমে থাকা ট্রলিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কা।বিকাশ কর্মী নি/হ/ত পটুয়াখালী শিল্পকলা একাডেমিতে সতেরো বছর পর জাসাসের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উদযাপন! শেখ হাসিনাকে নিয়ে গাওয়া গানের সাথে নৃত্য, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালী বাউফলে কৃষক দলের নেতার উপর হামলা বিচারের দাবিতে প্রতিবাদে নিন্দা ভিক্ষব মিছিল দেশের সংকটময় মুহূর্তে দলমত নির্বিশেষে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব….এবিএম মোশাররফ হোসেন বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়ার আয়োজন বরিশালে বাংলা বিভাগ আন্তঃবর্ষ শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ ও পুরস্কার বিতরণ বাউফলে নবনির্মিত পাবলিক লাইব্রেরীর শুভ উদ্বোধন
বঙ্গবন্ধু উদ্যানে শতবর্ষী রেইন-ট্রি গাছটি এখন মৃত

বঙ্গবন্ধু উদ্যানে শতবর্ষী রেইন-ট্রি গাছটি এখন মৃত

Sharing is caring!

এস এল টি তুহিন: বরিশাল মহানগরীতে আরো একটি শতবর্ষী রেইন-ট্রি গাছ মারা যাচ্ছে। নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান বা বেল পার্কের উত্তর প্রান্তে বিশাল আকৃতির গাছটি দীর্ঘদিন এ উদ্যানে বেড়াতে আসা সবাইকে ছায়া দিয়ে রেখেছে। নজর কেড়েছে সব আগন্তুকের। ১৯৯৮ সালে গাছটির গোড়ায় চার পাশ বাধাই করে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বছর দেড়েক আগে সেটি সংস্কার করে আরো দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। কিন্তু কালের স্বাক্ষী শতবর্ষী এ গাছটি এখন মৃত্যু পথযাত্রী।

১৯০৩ সালে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ থেকে জেলা সদর বরিশাল শহরে স্থানান্তরের পরে বিচার বিভাগ, পুলিশ, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে ওঠে তৎকালীন বেল পার্ক সংলগ্ন রাজা বাহাদুর রোড। তখন বেল পার্ক ও রাজাবাহাদুর রোডের পাশে বেশ কিছু রেইন-ট্রি গাছ লাগানো হয়েছিল। ক্রমে তা দৃষ্টনন্দন হয়ে উঠলেও অযত্নে-অবহেলায় গত দুই দশকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে এবং বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনের দক্ষিণ পাশের বেশ কিছু রেইন-ট্রি গাছ কেটে ফেলতে হয়েছে ।

বঙ্গবন্ধু উদ্যানের ভেতরে ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সালে সিটি করপোরেশন থেকে বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন বৃক্ষরোপন করা হলেও এর বাইরের গাছগুলোর প্রতি কারো নজর নেই। গণপূর্ত অধিদফতরের মালিকানাধীন বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ইতোপূর্বে ওয়াকওয়েসহ সব ধরনের স্থাপনা নির্র্মাণ করেছে গণপূর্ত অধিদফতর। কিন্তু উদ্যানটি ব্যবহারের অনুমোদনসহ সার্বিক দেখভাল করছে জেলা প্রশাসন। আবার বাতিসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কাজটি করছে সিটি করপোরেশন।

এ ত্রিমুখী ব্যবস্থাপনায় উদ্যানটির সার্বিক উন্নয়নসহ এখানের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সামাজিক পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে কারো দায় নেই বলে মনে হচ্ছে। যেকোন সমস্যার কথা তুলে ধরলে তখন এক দফতর অন্য দফতরের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে।

সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু উদ্যানের শতবর্ষী এ রেইন-ট্রির বিষয়টি নিয়ে গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নন বলে জানিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। বরিশালের বন সংংরক্ষক তাদের সৃজিত বাগানের বাইরের কোন গাছ গাছালির ব্যাপারে কিছু করণীয় নেই বলে জানান। জেলা প্রশাসকের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করা হলে তিনি বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করে এ ব্যাপারে যা কিছু করা সম্ভব তা করবেন বলে জানিয়েছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD