বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৬ অপরাহ্ন
মহামারী করোনাভাইরাস ইতিমধ্যে অনেকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। স্বজন হারিয়েছেন অনেকে কিন্তু দুঃখের বিষয় সরকারের বিধি-নিষেধ বরিশালে মানছেন না– রাস্তায় যারা হাঁটছেন বিভিন্ন অজুহাতে কারণে-অকারণে ঘর থেকে বের হচ্ছেন, অলি-গলি,চিপা-চাপায় ছোট ছোট চায়ের দোকানে যারা আড্ডা মারছেন। তাছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের জনসাধারণের করোনার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এতে করে দেখা যাচ্ছে যারা করোণা রোগী হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হচ্ছে তাদের সাথে যে স্বজনরা আসছেন তারা অহরহ ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দোকানে, হাট-বাজারে,পথে-ঘাটে হাঁটছেন,গাড়িতে করে ছুটছেন, অন্য লোকদের সংস্পর্শে আসেন,এখানে কোনো বাধা-নিষেধ দেখছিনা।
এছাড়াও বরিশালের দুটি বাস স্ট্যান্ড ও দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ লঞ্চ ঘাট এলাকা থেকে হাজার হাজার নারী- পুরুষ রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করছে এখানেও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেহ। করোনা টেস্টে, করোণা যাদের ধরা পড়েছে তাদেরকে সব মহল থেকে বলা হয়েছিল আইসোলেশন এ থাকতে, অবস্থা বুঝে মেডিকেলে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য।
এখানেও কারো নজরদারিতে নেই করোনা রোগীরা। বিভিন্ন অফিস-আদালতে খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রথম টেস্টে করোনা শনাক্ত হওয়া কেউ কেউ দ্বিতীয় টেস্ট করার আগেই করছেন অফিস, হাঁটছেন রাস্তায়, চলছেন সবার মাঝে। বাধা দেওয়ার মতো এখানে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অফিসের বস বলে কথা,গায়ের জোরের কথা,করোনা হয়নি,জ্বর হয়েছিল মিথ্যা বলে কথা। ইত্যাদি কারণে আমার ধারণা এতে করেই এখানে করোণা ছড়াচ্ছে বেশি। যে কারণে দিন দিন বরিশালে মৃত্যু হার বেড়েই চলেছে।