বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
মোয়াজ্জেম হোসেন.পটুয়াখালী প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে। এ লকডাউন উপেক্ষা করে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পশুর হাটগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের হাটগুলোতে মানা হচ্ছেনা নুন্যতম স্বাস্থ্য বিধি।
জানা গেছে, সপ্তাহের সাতদিনই উপজেলায় একাধিক পশুর হাট বসে। মঙ্গলবার কলাপাড়া পৌর শহরের হাট, বৃহস্পতিবার মহিপুর বাজার, শনিবার লালুয়া বাজার এবং কুয়াকাটা পৌর শহরের হাট, রবিবার ধানখালী নমোরহাট বাজার, সোমবার নীলগঞ্জ ইউপির পাখিমাড়া এবং লালুয়া ইউপির বানাতি বাজারে এছাড়াও চাপলি বাজার এবং আলিপুর বাজারে পশুর হাট সহ গ্রাম্য বাজার গুলো স্বাভাবিক ভাবেই চলছে।
রবিবার উপজেলার চম্পাপুর ইউপির নমোর হাট বাজার উপজেলার উল্লেখযোগ্য পশুর হাট বসেছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পশু বিক্রেতারা এ হাটে তাদের পশু নিয়ে এসেছেন। কিন্তু সেখানে কোনরকম স্বাস্থ্য বিধি মানা হয়নি। গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতার বেশ অভাব সেখানে পরিলক্ষিত হয়েছে।
একই দিন উপজেলার আলীপুর বাজারেও বড় ধরনের পশুর হাট বসেছে। যেখানে কয়েকটি ইউনিয়ন থেকে গরু,ছাগল, ভেড়াসহ অন্যান্য বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। বাজারে লোকজন কাধে কাধঁ মিলিয়ে চলাফেরা করছে। বেশিরভাগ ক্রেতা বিক্রেতাদের মুখে ছিল না মাস্ক। মানা হয়নি কোন রকম সামাজিক দূরত্ব। এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও শনিবার কুয়াকাটার পৌর এলাকায় বসেছে জমজমাট পশুর হাট। পৌর সদরের ৭ নং ওয়ার্ডের মাহবুবুর রহমান সড়কে এ হাট বসিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। লকডাউনের মধ্যে এক কিলোমিটার দীর্ঘ এ পশুর হাটে হাজারো ক্রেতা বিক্রেতা পশু বেচা কেনা করতে আসলেও কারও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই ছিলনা। বাজার কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো রকম পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাট বন্ধ রাখা সম্ভব হয়নি। সরকারের সর্বাত্মক লকডাউনের ১০ম দিনে কুয়াকাটায় এমন হাট ও জনসমাগম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
জানাগেছে, কুয়াকাটা পৌর মেয়র এবছর নতুন পশুর হাট ইজারা দিয়েছেন। কিন্তু পশুর হাটের জন্য নির্ধারিত কোন জায়গা না থাকায় পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের মাহবুবুর রহমান সড়কে প্রতি শনিবার হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কার্পেটিং সড়কেই প্রতি শনিবার হাট বসছে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে হাজারো ক্রেতা বিক্রেতা ভীড় জমিয়েছে এসব কোরবানীর পশু কেনা বেচা করতে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে পৌর কর্তৃপক্ষ কিংবা ইজারাদারের কোন উদ্যোগ চোখে পরেনি। প্রশাসনও এ বিষয়ে উদাসিন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোঃ শহিদুল হক সাংবাদিকদের জানান, গরুর হাট বসানো বন্ধ রাখার জন্য এর আগেও পৌর মেয়রকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি হাট বসানো হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরও জানান, গ্রামের হাটগুলোতা স্বাস্থ্য বিধি মেনে শুধুমাত্র সবজি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রির অনুমতি রয়েছে। সেখানে পশুর হাট বসার কোন সুজোগ নেই।