পটুয়াখালীর বাউফলে সিন্ডিকেট ইজারাদার
বিশ লক্ষটাকা আত্মসাৎ, ইউ,এন,ওর মামলা দায়ের
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে শক্তিশালী সিন্ডিকেট বাহীনি কৌশল অবলম্বন করে সর্বোচ্চ করদাতা হিসাবে হাটবাজার ইজারা নিয়ে নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধ না করে সরকারের প্রায় ২০লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন ৮ জন ইজারাদার।
জানাযায়,ওই আত্মসাৎকৃত টাকা আদায় করতে পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি (পিআরডি অ্যাক্ট), ১৯১৩ এর ৪ ধারায় মামলা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদের আওতাধীন গত বাংলা সনে উপজেলার কনকদিয়া, কেশবপুর, বগা, নওমালা, বাউফল সদর ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন হাটবাজার ইজারা নেন ৮ ঠিকাদার। নির্ধারিত সময়ে ইজারাদারেরা নির্ধারিত সময় সরকারের কোষাগারে টাকা জমা না দিয়ে ১৮লাখ ৩৯হাজার ৭শ ৪৫ টাকা আত্মাসৎ করেন ওই ঠিকাদারেরা।
এতে একাধিক বার নোটিশ করার পরেও টাকা দেননি ওই প্রভাবশালী ইজারাদারেরা। টাকা উত্তোলনে সকল চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মামলা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা যায়, কনকদিয়ার মো. সিদ্দিকুর রহমানের কাছে পাওনা ৫লাখ ৭৯ হাজার ৫শ’ টাকা, ওই ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের (মিজান কাজী) কাছে ২লাখ ৪৩ হাজার, পৌরসভার বাবুল সিকদারের কাছে সাড়ে ৩ লাখ, নওমালার ইউনিয়নের মোহাম্মাদ উল্লাহ রাহাতের কাছে ৪ লাখ ৪১ হাজার, বাউফল সদর ইউনিয়নের মো. সোহরাব হোসেনের কাছে ১লাখ ২১ হাজার ৯শ’ ৭০ টাকা পাওনা রয়েছে।
এছাড়াও কেশবপুর ইউনিয়নের মো. মজিবুর রহমানের কাছে ৫৩ হাজার ৩শ ৭৫ টাকা, একই ইউনিয়নের জোড়া খুন মামলার আসামী মিলন রহমানের (রুবেল) কাছে ৯ হাজার, বগা ইউনিয়নের রহিম মৃধার কাছে ৪১ হাজার ৬শ টাকা পাওনা রয়েছে।
সরকারের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে মিজান কাজী বলেন, টাকা আত্মসাৎ করার প্রশ্নই আসে না। কয়েকদিনের মধ্যেই টাকা পরিশোধ করে দিবো। একই কথা বলেন বাবুল সিকদার।
এবিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, টাকা আদায়ের জন্য সাটিফিকেট মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানা পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানাযায়।