শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
বরিশাল:বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম) পরিদর্শন করেন বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল মোঃ সাইফুল হাসান বাদল। কয়েক সপ্তাহ ধরে বরিশালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে এর সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে শেবাচিমে করোনা রুগীর আর এতেই হিমশিম খাচ্ছে শেবাচিমের চিকিৎসা সেবা এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে জন দুর্ভোগ।
পাশাপাশি বরিশাল বিভাগে দেখা দিয়েছে ডাইরিয়া রুগীর প্রকোপ যার ফলে সদর হাসপাতালের ডাইরিয়া ওয়ার্ডের বাইরের রুগীর সেবা দিচ্ছে সদর হাসপাতাল। এসকল সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ ১৮ এপ্রিল রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল মোঃ সাইফুল হাসান বাদল এসময় তিনি শেবাচিমের চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে এক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। এসময় তার সাথ উপস্থিত ছিলেন পরিচালক বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরিশাল ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস, জেলা প্রশাসক বরিশাল জসীম উদ্দীন হায়দার, সিভিল সার্জন বরিশাল ডাঃ মনোয়ার হোসেন, পরিচালক শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল ডাঃ এইচ এম সাইফুল ইসলাম, উপপরিচালক শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল ডাঃ জসিম উদ্দিন, সিইও বরিশাল সিটি কর্পোরেশ মোঃ ফারুক হোসেন প্রমূখ। এসময় শেবাচিমের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন চিকিৎসকরা এসময় তার বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসক দের সল্পতা রয়েছে। চিকিৎসাক সহ ৩য় এবং চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট রয়েছে।
করোনা রোগীর অত্যধিক চাপ রয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সংকট রয়েছে। করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসক কোয়ারেন্টাইনে থাকার ফলে চিকিৎসক ও সাপোর্টিং স্টাফ ঘাটতি থাকে। করোনা ওয়ার্ডে লিফট না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রুগীরা। পাশাপাশি করোনা ওয়ার্ডে ভিজিটর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছেনা ফলে অতিমাত্রায় নোংরা হচ্ছে করোনা ওয়ার্ড। করোনা ওয়ার্ড সহ শেবাচিমের বিভিন্ন বর্জ্য অপসারণ না করায় দেখা দিয়েছে দুর্গন্ধ সহ স্বাস্থ্যঝুঁকি।
আই সি ইউ সহ বিভিন্ন ইকুপমেন্ট পরিচালনার জন নেই দক্ষ টেকনিশিয়ান যার ফলে নষ্ট হচ্ছে দামি যন্ত্রপাতি। এসকল যন্ত্রপাতি চালানোর জন্য দরকার প্রশিক্ষিত জনবল। ইত্যাদি সমস্যার কথা তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসময় বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল সিটি কর্পোরেশনকে ময়লা বর্জ্য অপসারনের জন্য অনুরোধ করেন। পাশাপাশি গণপূর্ত কে আগামী সাত দিনের ভিতরে লিফট চালু করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। পরে বিভাগীয় কমিশনারসহ অন্যান্যরা শেবাচিমে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও করোনা ইউনিট পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে তারা বরিশাল সদর হাসপাতালের ডাইরিয়া ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। সেখানের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও রুগীদের সাথে কথা বলেন।
এসময় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমরা সবাই মিলে এই মহামারী প্রতিরোধে একসাথে কাজ করবো। সবাই নিজের স্থান থেকে দেশকে ভালো বেশে দেশের মানুষের সেবা করার চেষ্টা করবেন আমি বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সরকারের উপর মহলে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।