শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
গৌরনদীতে চোর সন্ধেহে গনপিটুনিতে আহত যুবকের দুইদিন পর মৃত্যু কুয়াকাটায় আগুনে পোঁড়া বন পরিদর্শন কলাপাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলে সহায়তার দায়ে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি সড়ক সংস্কারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল বাড়িতে ছাগল ঢোকাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর সংঘর্ষ, আহত-৪ বরিশালে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ বরিশালের জেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে উৎস করের নির্ধারিত ফি কম নিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করার প্রমান পেয়েছে দুদক কলাপাড়ায় কৃষকদের অবস্থান ধর্মঘট ও স্মারকলিপি প্রদান কলাপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিএনপি কার্যালয়সহ ৫টি দোকান ভস্মীভূত কলাপাড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বাউফলে সড়ক সংস্কারের দাবিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন বছরের প্রথম দিনেই বিচ্ছিন্ন দীপ অঞ্চলে সহকারী পুলিশ সুপার বাউফলে গাঁজাসহ ২৫ লাখ টাকা ও স্বর্নালংকার উদ্ধার নববর্ষে দেশীয় খেলাধুলা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা
কলাপাড়ায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, শয্যা সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত।।

কলাপাড়ায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, শয্যা সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত।।

Sharing is caring!

মোয়াজ্জেম হোসে,পটুয়াখালী প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আংশকাজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মার্চের মাঝামাঝি থেকে এ রোগের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শয্যা না থাকায় করিডোরের মেঝেতে ঠাঁই হয়েছে অনেক রোগীদের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি। প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ১৫ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হচ্ছে এখানে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া নিউমোনিয়াসহ  সর্বমোট ৭৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাই অতিরিক্ত রোগীকে ফ্লোরে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত রোগী ভর্তি থাকায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি বিশ্বাস জানান, এখানে সেবা দেয়ার জন্য আমরা মোট ২৬ জন স্টাফ রয়েছি। ৩/৪ জন মাতৃত্বসহ অন্যান্য ছুটিতে রয়েছেন। করোণা কাজে চারজন দায়িত্বরত থাকেন। তিনটি শিফটে ১২ থেকে ১৫ জন উপস্থিত থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, মেট্রোনিডাজল,  ওমিপ্রাজল এবং খাবার স্যালাইন পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। শুধুমাত্র কলেরা স্যালাইনের কিছুটা সংকট রয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত ভিজিটর হাসপাতলে অবস্থান করায় হাসপাতাল অধিক নোংরা হয়। সেই সাথে রোগী সেবায়ও ব্যাঘাত ঘটে।

নাচনাপাড়া থেকে আসা ডায়রিয়া রোগী স্নিগ্ধা রায়ের বাবা সঞ্জয় রায় বলেন, মেয়েটির ৪ দিন পর্যন্ত ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত সকালে ভর্তি হয়েছি। সিট না পেয়ে ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছি।
বালিয়াতলী থেকে আসা তানহার বাবা মমিন গাজী বলেন, তিন দিন পর্যন্ত ডায়রিয়া ও বমি হচ্ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এখানে ভর্তি করিয়েছি সিট পাইনি। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সকালে একজন ডাক্তার আসেন। এরপর সমস্যা হলে এমারজেন্সিতে ডিউটি ডাক্তারের কাছে যেতে হয়।
এছাড়াও ইসা, মারিয়া ও কুলসুম আক্তার বলেন, বেড এবং ডাক্তার সংকট সমাধানে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের অনুরোধ করছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিন্ময় হালদার বলেন, শয্যা ও চিকিৎসক স্বল্পতা থাকলেও আমরা রোগীদের উন্নত সেবা প্রদানের সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে পর্যাপ্ত ওষুধ এবং স্যালাইন মজুত আছে। তাই এ নিয়ে রোগীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD