শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের দেওয়া চার বার্তার প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, কোনো নির্বাচন কমিশনার এককভাবে নির্দেশনা দিতে পারেন না।
বুধবার
(২৬ ডিসেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি)
সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
এর আগে এইচটি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এইচ টি ইমাম বলেন, সকালে গণমাধ্যমে একজন
কমিশনারের বক্তব্য শুনেছি। যা আমাদের হচকচিত করেছে। কারণ একজন কমিশনার
এককভাবে কোনো নির্দেশনা দিতে পারেন না। যা সিদ্ধান্ত হবে সেই বিষয়ে
নির্দেশ দেবেন পাচ সদস্যের কমিশন। এরপর সেই সিদ্ধান্ত সিইসি জানাবেন। কমিশন
থেকে বের হয়ে আরেকজন ব্যক্তিগত মত দেবে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে চেইন অব
কমান্ড মানা হচ্ছে না সেটি আমরা মনে করি না।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। এ নিয়ে নানা সমালোচনাও রয়েছে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন বৈঠকে কোনো কমিশনার ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারেন, কিন্তু তিনি তা বাইরে এসে বলতে পারেন না। এতে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। কারণ কমিশনের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘অর্থ ও পেশী শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। পেশী শক্তি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রশাসন। কিন্তু অর্থের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। গতকালও (মঙ্গলবার) বড় একটি চালান এসেছে হুন্ডির মাধ্যমে। নির্বাচনের আগের দিন ও পরের দিন টাকা লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করা যায় কি-না, সেটি দেখার জন্য কমিশনকে বলেছি। ভোট কেনা বেচায় এটি ব্যবহৃত হতে পারে।’
এইচ টি ইমাম বলেন, এনজিও পর্যবেক্ষণ ব্যুরো থেকে দেখলাম ১১৯টির মধ্যে ৭৫টির-ই নিবন্ধন নেই। অধিকারের বিরুদ্ধে মামলা আছে, এনজিও ব্যুরো বলছে- তাদের নিবন্ধন-ই নেই। তাদের আচরণ ও কথাবার্তায় তারা বিকৃত তথ্য দিয়ে যেগুলো রীতিমত নির্বাচন কমিশন নয় রাষ্ট্রের জন্য অপমানজনক।
‘এনফেলের লোকাল চ্যাপ্টার অধিকার। এর চেয়ারম্যান আদিলুর রহমানের বিরুদ্ধ মামলাও আছে। এনফেল ও অধিকার এক ও অদ্বিতীয়।’
তিনি বলেন, আমরা যানবাহন চলাচলের ওপর শিথিলতা করতে বলেছি। সাংবাদিকদের চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে এবং মোটরসাইকেলের জন্য যাতে পাসের ব্যবস্থা করা হয় সেটি আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। এছাড়া আমাদের ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য শিথিলতা চেয়েছি। কারণ আমাদের কমিশনে আসতে হবে ও অন্যান্য জায়গায় চলাচল করতে হবে। সে জন্য আমরা যানবাহন চলাচল কিছুটা শিথিলতা চেয়েছি।
ঐক্যফন্টের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে এইচ টি ইমাম বলেন, আমরা কমিশনকে বলেছি আপনারা সবচেয়ে উচু প্রতিষ্ঠান। আমরা টেবিলও চাপড়াবো না আর ধমকও দেবো না।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীরর অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য রিয়াজুল কবির কাওসার প্রমুখ।