শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০২ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বললেও তাদের দলে রাজাকার, আল বদর, আল শামস নেতারা রয়েছেন। অথচ বিএনপির মনোনয়নে আইএসআই ভূমিকা রেখেছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে সরকার। যার কোনো প্রমাণ নেই ও সত্যের লেশ মাত্র নেই।
তিনি আরো বলেন, একতরফা নির্বাচন করতেই আওয়ামী লীগ আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিএনপির প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করছে।
আজ রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- যারা যুদ্ধাপরাধীদের মনোনয়ন দেয় তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে।
‘ধানের শীষকে ভোট দেওয়া মানে দুর্নীতি, লুটপাট ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া’- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বাংলাদেশ ব্যাংক লুটের কথা তো বললেন না? এটা কে লুট করেছে? সব ব্যাংকগুলো লুটপাট করে খালি করেছে কারা? শেয়ার বাজার লুট করেছে কারা? বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের খবর প্রকাশিত হয়েছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে- গত ১০ বছরে সাড়ে বাইশ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এ সরকারের লোকজন।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের কথিত স্বপক্ষের শক্তি দাবি করে বিচার করলেও তাদের দলে থাকা রাজাকারদের ব্যাপারে একেবারে নিরব। এ দলটিতেও রয়েছে কুখ্যাত রাজাকার, আল বদর, আল শামস, গণহত্যকারী, গণধর্ষণকারী, অগ্নি সংযোগকারীসহ অসংখ্য ব্যক্তি স্বাধীনতাযুদ্ধে মানবতাবিরোধী লিপ্ত ছিল। এ ব্যক্তিরাসহ তাদের সন্তান-সন্তুতি এখন আওয়ামী লীগের বড় নেতা বা তাদের টিকিটে নির্বাচন করছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব দাবি করেন, আওয়ামী লীগের ২৩ জন যুদ্ধাপরাধী বা তাদের পরিবার কোনো না কোনভাবে ৭১ সালে পাকিস্তান সরকার ও যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, মক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এসব নেতা ঘৃণিত ভূমিকা পালন করেছেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতেতে সক্রিয় থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বনে গিয়েছে। মুক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তারা হলেন- অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, মুসা বিন শমসের, মির্জা গোলাম কাশেম, এইচ এন আশিকুর রহমান, মহিউদ্দিন খান আলমগীর, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মজিবর রহামান হাওলাদার, আবদুল বারেক হাওলাদার, মালেক দাড়িয়া, মোহন মিয়া, মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া, রেজাউল হাওলাদার, বাহাদুর হাজরা, আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার, হাসেম সরদার, আবদুল কাইয়ুম মুন্সি।
রিজভী বলেন, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত কুৎসা, ঘৃণ্য অপপ্রচারের ধারাবাহিকতা এখনও অব্যাহত আছে। আইএসআই নাকি বিএনপির মনোনয়নে ভূমিকা রেখেছে। এটি ডাহা মিথ্যাই নয়, নোংরা অপপ্রচার। সরকার আগ্রাসী প্রতিহিংসায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করার জন্য কিছু মিডিয়া ও ‘গায়ে মানে না আপনি মোড়ল’ ধরনের বুদ্ধিজীবীকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।