শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
তারুণ্যের সমাবেশ উপলক্ষে বরিশাল মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভা কলাপাড়ায় যাত্রিবাহী বাস থেকে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির ৩০মন মাছ জব্দ বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা কলাপাড়ায় নদী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার কলাপাড়া বাজার আয়োজিত  ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন কলাপাড়ায় বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক সাড়ে ১২ মন মাছ জব্দ কলাপাড়ায় ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মেগা প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত ৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন বাকেরগঞ্জে স্বামী স্ত্রীর দ্বন্দ্বের ঘটনায় সাবেক এমপিকে জড়ানোয় বিএনপির উদ্বেগ অপারেশন ডেভিল হান্ট” কলাপাড়ায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-৬ কুয়াকাটায় পর্যটক হেনেস্তাকারী যুবদল সভাপতি বহিষ্কার টুরিষ্ট ভিসায় জেল খেটে বিদেশ ফেরত মকছুদ।কলাপাড়ায় দুই  প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা কলাপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি’র দলবদল
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ও বেরিবাধ পরিদর্শন

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ও বেরিবাধ পরিদর্শন

Sharing is caring!

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামিম বলছেন, কুয়াকাটা ও কক্সবাজারে সরকারের একটি প্লান রয়েছে। সেই প্লান কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেলক্ষে ২ বছর আগে মন্ত্রনালয়ের সচিব ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক নেদারল্যান্ডে গিয়েছিলো। নেদারল্যান্ড তাদের সী-বিচগুলো তীর রক্ষা করে যেভাবে তাদের জনগনের জন্য তৈরি করেছে, সেই প্রক্রিয়াটি দেখে এসেছেন তারা। বাংলাদেশে এসে সেই অনুযায়ী সমীক্ষা শেষ করা হয়েছে। এখন ডিপিপি প্রণয়ন হয়ে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে সেখান থেকে একনেকে যাবে। কক্সবাজার এবং কুয়াকাটাকে আন্তর্জাতিক মানের সী-বিচ করার প্লান আমাদের রয়েছে।

শনিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ও বেরিবাধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সমুদ্রতীর রক্ষায় এখানে (কুয়াকাটায়) একটা প্রকল্প চলমান রয়েছে। সেক্ষেত্রে ছোট খাটো ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হয়েছে, তবে স্থায়ী সমাধান নয়। স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ চলমান রয়েছে।

এসময় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সমুদ্র তীর রক্ষায় কুয়াকাটায় কিছু জিও টিউব দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু সেই জিও টিউবগুলোতে দর্শনার্থীরা এসে বসেন এবং নানানভাবে ব্যবহার করে কেটে ফেলেন। যতদিন জিও টিউবগুলো ঠিক ছিলো, ততদিন তীর ভাঙ্গেনি কিন্তু ছিদ্র হয়ে টিউবের ভেতরের বালু পরে যাওয়ার পর থেকে তীর আবার ভাঙ্গছে। সাধারণ জনগনেরও কিন্তু একটা দায়িত্ব আছে, শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করলেই হবে না। গোটা বাংলাদেশকে সরকারের পক্ষে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে না, যতক্ষন জনগন সরকারের সাথে একসাথে মিলে কাজ না করবে। আমরা আহবান জানাবো ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে যাবে সমুদ্রতীরে ভাঙ্গন না হয়, কিন্তু কেউ যেন জিওটিউব ছিদ্র করে না ফেলে। এভাবেই স্থায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা সৈকতকে রক্ষা করবো।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের কারণে পৃথিবীর সকল দেশেই অর্থনৈতিক একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের ভেতরে আমরা সমৃদ্ধশালী দেশ হবো। কিন্তু করোনার কারনে আমাদের অগ্রযাত্রা একটু ব্যহত হয়েছে।  তারপরও আমরা ও সরকার ঘাবড়ে না গিয়ে আবার ঘুরে দাড়িয়েছি এবং ২০৪১ সালের ভেতরে সমৃদ্ধশালী দেশ হওয়ার লক্ষ্যে পৌছাবো ইনশ্আল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে কক্সবাজার এবং কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের করার।  তাই যত দ্রুত সম্ভব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। কারণ আন্তর্জাতিক মানের হলে দেশের মান-সন্মান বৃদ্ধি যেমন পাবে তেমনি বিদেশীরাও আসবে।

সমুদ্রতীরে বালু ও মাটি সরে সাবমেরিন ক্যাবল বেড়িয়ে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের কোন সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা তার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

নতুন প্রকল্পে বাধের উচ্চতা বাড়িয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় এলাকায় ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সাহায্যে ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকার প্রকল্প চলছে, যেখানে ১৩৯ টি পোল্ডারের কাজ হচ্ছে। ১৩৯ টি পোল্ডারের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১৭ টি প্লোডারের কাজ করার কথা ছিলো, কিন্তু জমি অধিগ্রহনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আমরা ১০ টি প্লোডারের কাজ করছি। বাকী ৭ টিসহ ২৯টি পোল্ডারের কাজ ভিন্ন প্রকল্পের আওতায় আগামী ৫ বছরের মধ্যে শেষ করবো। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের অনেক উপকৃত হবেন এবং আরো সুরক্ষিত হবেন। বন্যা-জলোচ্ছাসে ক্ষয়ক্ষতি কমে আসবে।

সে-সময় উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়ার সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান, কুয়াকাটা পৌর মেয়র বারেক ঢ়ালী, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন, শহিদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বৃন্দারা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD