রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক:ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সে সব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার। ০৩ পৌষ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনা ১৩৯৯- পানিপথের যুদ্ধে তৈমুর লঙ দিল্লির সুলতান মুহম্মদ তুঘলককে পরাস্ত করেন। ১৯০৩- রাইট ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম প্লেনে উড্ডয়ন করেন। ১৯৯৬- পেরুর জিম্মি সংকট শুরু। ১৯৭১- চট্টগ্রাম ও ফরিদপুর স্বাধীন হয়। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হলেও চট্টগ্রাম ও ফরিদপুর মুক্ত হয়েছিল একদিন পর। জন্ম ১৭৭০- জার্মান সুরকার এবং পিয়ানো বাদক লুডউইগ ভ্যান বেটহোভেন। তাকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সুরকারদের একজন মনে করা হয়। তিনি পাশ্চাত্য সঙ্গীতের ধ্রুপদী ও রোমান্টিক যুগের অন্তর্বর্তীকালীন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তার খ্যাতি ও প্রতিভা পরবর্তী প্রজন্মের সুরকার, সংগীতজ্ঞ ও শ্রোতাদের অনুপ্রাণিত করেছে। ১৯৩৬- বাঙালি কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক দেবেশ রায়। তার জন্ম অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পাবনা জেলার বাগমারা গ্রামে। ১৯৭৯ সাল থেকে তিনি এক দশক ‘পরিচয়’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। তার প্রথম উপন্যাস ‘যযাতি’। উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে- মানুষ খুন করে কেনো (১৯৭৬), মফস্বলী বৃত্তান্ত (১৯৮০), সময় অসময়ের বৃত্তান্ত (১৯৯৩), তিস্তা পাড়ের বৃত্তান্ত (১৯৮৮), লগন গান্ধার (১৯৯৫)। তিস্তা পাড়ের বৃত্তান্ত উপন্যাসটির জন্য তিনি ১৯৯০ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হন। মৃত্যু ১৯৩১- বিখ্যাত বাঙালি ভারততত্ত্ববিদ, সাহিত্যিক, পুঁথি সংগ্রাহক, সংস্কৃত বিশারদ, সংরক্ষণবিদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। তার আসল নাম হরপ্রসাদ ভট্টাচার্য। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদের আবিষ্কারক। হরপ্রসাদ ব্রিটিশ বাংলা প্রদেশের খুলনা জেলার কুমিরা গ্রামে ১৮৫৩ সালের ৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বিখ্যাত বইগুলো হলো- বাল্মীকির জয়, মেঘদূত ব্যাখ্যা, বেণের মেয়ে (উপন্যাস), কাঞ্চনমালা (উপন্যাস), সচিত্র রামায়ণ, প্রাচীন বাংলার গৌরব ও বৌদ্ধধর্ম। তার উল্লেখযোগ্য ইংরেজি রচনাগুলো হলো- মগধান লিটারেচার, সংস্কৃত কালচার ইন মডার্ন ইন্ডিয়া ও ডিসকভারি অফ লিভিং বুদ্ধিজম ইন বেঙ্গল। ২০১১- গণতান্ত্রিক উত্তর কোরিয়ার শাসক ও প্রধান ব্যক্তিত্ব কিম জং ইল। তিনি কিম জং উনের বাবা।