রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:১৫ অপরাহ্ন
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গোটা দেশ লক ডাউনে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। কিন্তু তার মধ্যেও চলছে বরিশালের সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের কার্যক্রম। কিন্তু দেয়া হচ্ছে না শ্রমিকদের বেতন।
এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিলের প্রধান ফটোকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে শত শত শ্রমিক। এসময় তারা কোম্পানির নিয়ম পাল্টো ১০ তারিখের মধ্যে প্রতি মাসের বেতন পরিশোধের পাশাপাশি দুই মাসের বকেয়া বেতন দাবি করেন।
রোববার সকাল ৯টা হতে বেলা ১১টা পর্যন্ত নগরীর বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের দপদপিয়া শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু সংলগ্ন সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। পরে আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেন শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ‘খান সন্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করে। কিন্তু নিয়মিত বেতন দেয়া হচ্ছে। এক মাসের বেতন দেয়া হয় অপর মাসের শেষে। এতে শ্রমিকদের পড়তে হয় বিপাকে। পরিবার পরিচজন নিয়ে কষ্টের মধ্য কাটাতে হয় সংসার।
শ্রমিকরা বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সকলের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। এজন্য দেশ লকডাউনে রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও মালিক পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা নিয়মিত কাজ করে আসছি। অথচ চলমান সংকটের মধ্যেও আমাদের দু’মাসের বেতন আটকে রাখা হয়েছে।
আর তাই দুই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বেতন শ্রমিকদের মাঝে বুঝিয়ে দেয়ার দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে শ্রমিকরা। তারা কাজে যোগদান না করে সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এদিকে খবর পেয়ে মহানগরীর কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা কাজে ফিরে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের প্রকল্প কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী খোকন বলেন, ‘মাসের ২০-২৫ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন দেয়া হয়। শেষ দিকে বেতন দেয়ার বিষয়টি কোম্পানির একটি পলিসি। এ বিষয়টি তারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে কোম্পানির আর্থিক সংকট রয়েছে।
তিনি বলেন, মূলত গত মাসের বেতন চলতি মাসের ২৫ এপ্রিল দেয়ার কথা। কিন্তু শ্রমিকরা এর বিরোধীতা করে মার্চ মাসের বেতন নির্ধারিত সময়ের আগেই দাবি করেছে। এজন্যই তারা মিলের গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। পরে ওসি সাহেব ৮ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও তার কথা মেনে নিয়েছি। তাই শ্রমিকরা পুনরায় কাজে যোগ দিয়েছে।