বৃহস্পতিবার, ০৩ Jul ২০২৫, ০৭:০০ অপরাহ্ন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বরিশালে বিভাগে ৪০৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
যারমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় (অদ্য সকাল ৮ টা পর্যন্ত) নতুন ২১৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে, যা পূর্বের ২৪ ঘন্টার দ্বিগুন, পূর্বের ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ১০৪ জনকে আনা হয়েছিলো।
বৃহষ্পতিবার (১৯ মার্চ)বেলা ১১ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস।
বিভাগের ৬ জেলার হিসেব অনুযায়ী, বরিশালে নতুন ২১ জনসহ মোট ৮২ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ১৬ জনসহ মোট ৩৯ জন, ভোলায় নতুন ৩৫ জনসহ ৪৯ জন, পিরোজপুরে নতুন ৫১ জনসহ ৮৩ জন, বরগুনায় নতুন ৪৫ জনসহ ৯১ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ৪৫ জনসহ ৬৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৪০৭ জনের অধিকাংশই প্রবাসী। এছাড়া বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন রোগী আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত কারো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে বিভাগে কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ১৯ জন। যারমধ্যে বরিশালে ১০, পটুয়াখালীতে ৫, বরগুনায় ১ ও ঝালকাঠিতে ৩ জন রয়েছে।
স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকজনদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মী। পাশাপাশি এদের সবাইকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কাজে জেলা- উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহায়তা করছে। আমরা ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায়ে আমাদের সার্সিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
আর সেবিকাসহ চিকিৎকদের নিরাপত্তায় পার্সোনাল প্রটেকশন সরঞ্জাম এরইমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্টদের শঙ্কার কোন কারণ নেই।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, বরিশাল বিভাগে ১০ হাজারের ওপর বিদেশ ফেরতের যে সংখ্যা শোনা যাচ্ছে, বাস্তবে তার চিত্র ভিন্ন। কারন ঢাকা কিংবা অন্যত্র থাকেন তারা গ্রামের বাড়ির ঠিকানা এখানে দেখিয়েছন। কিন্তু তারা বিদেশ থেকে এসে বরিশালে আদৌ আসেননি। তবে সুনির্দিষ্ট করে বিদেশ ফেরতদের সনাক্তকরতে গ্রাম পর্যায়ে মেম্বার, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে।