শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
বরিশাল বিভাগে মোট ১৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশালের স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারি পরিচালক ডা: শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল জানান, ৭জন বরিশাল জেলায়, ৪জন ঝালকাঠি জেলায় এবং বাকী ৪ জন পটুয়াখালী জেলায়।
পটুয়াখালীর ৪ জন চীনা নাগরিক। তারা আজ বৃহস্পতিবার পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রে আসলে তাদের সেখানেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
এছাড়া বরিশালের ৭ জনের মধ্যে ৪ জন গৌরনদী, ২ জন হিজলা এবং ১জন বাকেরগঞ্জে আছেন। গৌরনদীর ৪জন ইতালী ফেরত, হিজলা একজন সৌদী অপর জন সিঙ্গাপুর এবং বাকেরগঞ্জের একজন মালয়শিয়া ফেরত।
ঝালকাঠির ৪ জনের মধ্যে নেদারল্যান্ডের একজন, সিঙ্গাপুরের একজন এবং সৌদি আরবের দুইজন রয়েছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, গৌরনদীতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা ৪জনের মধ্যে একজনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া জানা গেছে গৌরনদীর ৪ জনের মধ্যে একজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতংকিত হওয়ার কোনো দরকার নেই। সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় সিভিল সার্জন ডা: মনোয়ার হোসেন জানান, কোয়ারেন্টাইনে রাখা ইতালি প্রবাসীরা ইতালির মিলান থেকে বিমানযোগে ২ মার্চ ঢাকায় আসেন। এরপর বিমান বন্দর হয়ে তারা বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলায় নিজ বাড়িতে আসেন। সেখানে তারা ১০ মার্চের আগ পর্যন্ত অন্যান্য মানুষের সাথে স্বাভাবিক চলাফেরা করেন। স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ কর্মীরা এই ৪ ইতালি প্রবাসীর সন্ধান পাওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমকর্তাকে অবহিত করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ১০ মার্চ থেকে তাদের ওই ৪জনকে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করেন। উদ্বেগ, উৎকন্ঠা, আতংক ও নিরাপত্তার কারনে ওই ৪জনের পরিচয় এবং বাড়ির ঠিকানা প্রকাশ করেননি বরিশালের সিভিল সার্জন। পাশাপাশি হিজলা ও বাকেরগঞ্জের তিনজনের পরিচয়ও গোপন রাখা হয়েছে।
কোনভাবে আতংকিত না হয়ে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল খায়ের মাহমুদ রাসেল জানান, বিদেশ থেকে ফেরত আসা চারজনকে রাজাপুরে নিজ বাড়িতে আলাদভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিলো। তবে এদের কেউই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন।
তিনি জানান, এর মধ্যে চীন ফেরত একজনের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবের দু’জনের জ্বর-কাশি ছিল। গত তিনদিন ধরে তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর এখন তারা ভালো আছেন। মঙ্গলবার ইতালি থেকে দেশে আসা একজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তিনি সুস্থ থাকলেও যেহেতু ইতালিতে এই মুহূর্তে লকডাউন আছে তাই তাকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হালাদার বলেন, বিদেশ ফেরত ওই চারজনকেই আমরা নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখলেও তাদের শরীরে বর্তমানে কোন জ্বর বা কোনো প্রকার ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ নেই।