শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার আউলিয়াপুরে চিকিৎসার নামে কালাম মৃধা (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা করার ঘটনায় ভূয়া ফকির সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৮।
মঙ্গলবার বেলা সারে ১১টায় র্যাবের একটি আভিযানিক দল নগরীর রুপাতলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- রিয়াজউদ্দিন ফকির (৪৮), স্ত্রী তাসলিমা আক্তার লাকি(৪২) ও ছেলে তৌহিদুর রহমান (১৮)।
গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে র্যাবের কাছে।
র্যাব জানায়, কালাম মৃধার স্ত্রী ৩১ জানুয়ারি শুক্রবারে সকালে দুই দেবরকে সাথে নিয়ে রিয়াজ ফকিরের বাড়ীতে যায়। রিয়াজ ফকির তাহার চাচাতো ভাই অসীম ফকির সহ ৪/৫ জন মিলে সকালে ও বিকালে কালাম মৃধাকে লাঠি দিয়ে পেটায় ও বাড়ীর পুকুরে বার বার ডুব দেয়ায় কালাম মৃধা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মাজার সংলগ্ন একটি রুমে রাখা হয়। কালাম মৃধা সন্ধ্যায় মারা যাওয়ার পর হত্যাকারীরা তাহার লাশ বাড়ীর পাশে বাগানে ফেলে রাখে। আসামীর দাদা মৃত ফকির আঃ রহমান মুন্সী@কালুসা দেওয়ান ১ম জীবনে মাদ্রাসার শিক্ষকতা করতেন এবং মুন্সী পদবী গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি ফরিদপুরের দত্তপাড়ায় মোহনসা দেওয়ানের মুরিদ হয়ে এলাকায় এসে দরগাহ/খানকাহ খোলেন। তার মৃত্যুর পর আসামীর চাচা সাম দেওয়ান উক্ত পীরদানী চালিয়ে যান এবং নাম দেন দেওয়ান মাজার যা বরিশালের কাউনিয়াতে অবস্থিত। সাম দেওয়ান মারা যাওয়ার পর তার ছেলে খোকন দেওয়ান পীরদানী চালু রাখেন। খোকন দেওয়ান মারা যাওয়ার পর সারে ৪ বছর ধরে বাকেরগঞ্জের আওলিয়াপুরে আসামী পীরদানী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। মৃত কালাম মৃধা মানসিক রোগে ভুগছিলেন।
গত ৩১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ শুক্রবারে কালামের চিকিৎসা শুরু করেন। চিকিৎসার নামে রোগীকে রিয়াজউদ্দিনের হুকুমে প্রচন্ড মারধোর করে এবং পুকুরে ঠান্ডা পানিতে ১০১ বার ডুব দেওয়ানো হয়। ফলে রোগী মারা যায়। আসামী ফকির ব্যবসার মাধ্যমে রোগীদের ভূয়া চিকিৎসা দেয় এবং তাদের কাছ থেকে টাকা, ছাগল, গরু, চাল,মুরগী ইত্যাদি জিনিস গ্রহণ করে থাকে।