শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠিতে চাঁদাবাজি মামলায় আটক হওয়া সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাদিসুর রহমান মিলন ওরফে সৈয়দ মিলনকে অস্ত্র মামলায় তিনদিনের রিমান্ড এনেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশের দায়েরকৃত অস্ত্র মামলায় সৈয়দ মিলনকে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। পুলিশের আবেদন আমলে এনে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসংঙ্গত, জেলা শহরের বিকনা এলাকার কামাল হোসেন হাওলাদার নামের এক ঠিকাদারের কাছে মাসিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদার দাবী করে আসছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মিলন। চাঁদার বিষয় ঠিকাদার কামাল স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জালানে সৈয়দ মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে গত ৫ জানুয়ারি ঠিকাদার কামাল হোসেনকে মারধর করে। পরে কামাল হোসেনকে মারধরের ঘটনায় সৈয়দ মিলন সহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে ঝালকাঠি সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
কামালের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৪ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা মিলনের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ১১টি দেশীয় ধারালো রামদা ও ৪টি পাইপ গান উদ্ধার পূর্বক সৈয়দ মিলন ও তার ৩ সহযোগীকে গ্রেফতার করে। একই রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজি মামলার অভিযুক্ত আরো দুইজনকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বুধবার ঝালকাঠি সদর থানায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাদিসুর রহমান মিলন ( সৈয়দ মিলন), ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপুসহ মামুন খান ও সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত মিলনকে আদলতে হাজির করে পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদলত তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুরের পাশাপাশি অপর অভিযুক্তদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয় সদর থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান, শহরের এক ঠিকাদারের দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় প্রথমে মিলনের বাসায় অভিযান করা হয়। এসময় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয় সে। পরে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তার সহযোগি হিসেবে পরিচিত তরিকুল ইসলাম অপু, মামুন খান, সাইফুল ইসলাম, পলাশ দাস ও মামুনুর রশিদ ওরফে কঠিন মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। মিলন, তরিকুল ইসলাম অপু, মামুন খান এবং সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদবাজির দুটি মামলাই হয়েছে। অপরদিকে পলাশ দাস ও মামুনুর রশিদ ওরফে কঠিন মামুনকে ঠিকাদারের দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ মামলার আরেক অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে।