রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: অ্যান্ডোক্রাইন (অন্তঃস্রাব) জনিত সমস্যা উত্তরণের লক্ষ্যে রাজধানীতে শুরু হয়েছে হরমোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও বার্ষিক সাধারণ সভা।
শুক্রবার (০২ নভেম্বর) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশ অ্যান্ডোক্রাইন সোসাইটি’ (বিইএস) আয়োজিত এ সম্মেলন ও সাধারণ সভার শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ অ্যান্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠানের সভাপতিত্বে সম্মেলন ও বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান।
ডা. এ কে আজাদ বলেন, সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশ অ্যান্ডোক্রাইন সোসাইটি বৃহৎ একটি সংগঠনে রূপ নিয়েছে, যা দেখেই আনন্দ হচ্ছে। তবে এখানেই থেমে থাকলে চলবেনা। অ্যান্ডোক্রাইন সমস্যার প্রতি বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী ফোকাসের মধ্যে রয়েছে। এ সমস্যা বর্তমানে খুবই কমন। পথ চলায় যতো বাধা আছে, সেসব উতরে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যান্ডোক্রাইন সোসাইটি সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. এসএম আশরাফুজ্জামানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. হাফিজুর রহমান। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. হাজেরা মাহতাব, অধ্যাপক ডা. এ আর খান, অধ্যাপক ডা. জাফর আহমেদ লতিফ, এবং অধ্যাপক ডা. কিশোয়ার আজাদ, বিইএসের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহজাদা সেলিম প্রমুখ। তাছাড়া সারা দেশের সব ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ প্রায় ৪০০ চিকিৎসক এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।
সম্মেলনে দেশের বাইরের পাঁচজন এবং দেশের আটজন ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ গবেষক তাদের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। তারা দেশে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে আধুনিক চিকিৎসা-ব্যবস্থাপনার সমন্বয় স্থাপনের চেষ্টা করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশীয় গবেষণার সঙ্গে আন্তর্জাতিক গবেষণালব্ধ ফলগুলোর উপস্থাপনায় বাংলাদেশের চিকিৎসকদের আধুনিকতম চিকিৎসা দেওয়ার পথ সুগম করবে।
তরুণ চিকিৎসকদের মেধা ও মননসম্পন্ন চিকিৎসা সেবায় ব্রতী হতে বিশ্বব্যাপী এ ধরনের সম্মেলনগুলোকেই সবচেয়ে বড় মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক ডায়াবেটিসের রোগী, থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত মানুষ, দৈহিক স্থূলতায় ভোগা লোকজন, হাড়ক্ষয় ও রজঃনিবৃত নারীদের সুচিকিৎসা, সর্বোপরি অসংক্রামক রোগসমূহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে এ সম্মেলনলব্ধ জ্ঞান ব্যাপকভাবে কাজে লাগতে পারে বলে সম্মেলনে জানানো হয়।