শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন
হেলাল আহম্মেদ(রিপন( পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ এযেন সিনেমাকেও হার মানায় পটুয়াখালীর বাউফলে বাস্তবে ঘটেছে এমন একটি লোম হর্ষক ঘটনা। পাকা রাস্তায় মার্বেল বিছিয়ে ফাঁদ পেতে মোটরসাইকেল ফেলে বিরোধী গ্রুপের তিনজনকে কুপিয়ে ও গুলি করে আহত করার ঘটনার খবর পাওয়া গেছে ।
ঘটনার পর সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও চারদিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। গত ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে সন্ত্রাসের জনপদথ বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাবুপুরা গ্রামের লাল খানের বাড়ির উত্তর পাশে এ ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় আহত রেজাউলের ভাই মালেক খান বাদী হয়ে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার চারদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি বলে জানা যায়। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসম ফিরোজের সমার্থক ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা মোঃ রেজাউল খান অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে যাদুরকাঠি হিন্দুপাড়া নৌকা মার্কার একটি উঠান বৈঠক শেষে লালখান বাড়ির উত্তর পাশের সড়কে অনেক মারবেল বিছিয়ে রাখলে মোটরসাইকেল তিনটি পড়ে যায় এবং পূর্বে থেকে ওতপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি গুলি করে এবং কুপিয়ে ও পিটিয়ে রেজাউল খানসহ অন্যান্যদের আহত করে বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ মোতালেব হাওলাদারের ছেলে হাসান হাওলাদারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এঘটনা ঘটিয়েছে বলে আহতর পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়।
ঘটনাস্থল থেকে ৪টি মোটরসাইকেল ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানাগেছে। বগায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক মীর দৈনিক আনন্দ বাজারকে জানান, আহত রেজাউলের পা থেকে ৪টি ছররা গুলি অপারেশন করে বের করা হয়েছে। তার দুই পা ও হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।আহতরা তিনি এখন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে রেজাউল খানের অবস্থা আশংকাজনক বলে দাবি তার স্বজনদের। জেলার বাউফল উপজেলার মধ্যে বগা ইউনিয়ন টি একটি সন্ত্রাসের জনপথ হিসেবে চিহ্নিত।
এখানে প্রায়ই হামলা মামলার ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সময়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্তরনকে কেন্দ্র করে এই বগায় ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। সারেজামিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে লালখান বাড়ির উত্তর পাশের রাস্তায় গুলির শব্দ শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে রেজাউলসহ ৪/৫রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে যান । এবং পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ মারবেন, মোটরসাইকেল ও গুলির খোসা উদ্ধার করে । উদ্ধারকৃত শর্ট গানের এই গুলির খোসাটি বৈধ অস্ত্রের নাকি অবৈধ অস্ত্রের এমন প্রশ্নের জবাবে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির গাজী বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এবং আমি আপনার কাছে শুনলাম ব্যাপারটি নিয়ে ওসি সাহেবের সাথে কথা বলবো।
বগা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি শটগানের গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শুনিত কুমার গায়েন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং মামলার তদন্ত কাজ চলছে, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী দৈনিক বরিশাল সমাচারকে জানান,আমি এবং ওসি সাহেব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।