বুধবার, ০২ Jul ২০২৫, ০৬:১৯ অপরাহ্ন
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব বাকাল গ্রামে আলোচিত দেব প্রসাদ কর্মকার হত্যা মামলার বাদিকে মামলা তুলে নিতে অপহরনসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল আসামিরা।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে বাদি আগৈলঝাড়া থানায় নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়রী করেন। মঙ্গলবার সকালে হত্যা মামলার আসামিরা বাদির বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাদি ও নিহতের কন্যা এলিজাবেথ কর্মকারকে ধরে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের দেব প্রসাদ কর্মকারের কন্যা ও হত্যা মামলার বাদি জিজিতে উল্লেখ করেছে, তার পিতা হত্যা হবার পরে ২০২১ সালের ৮ মে আগৈলঝাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলা নং ৬। ওই হত্যা মামলা তুলে নিতে আসামিরা বিভিন্ন সময় তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ২০ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে আসামিরা তার বসত বাড়িতে এসে পিতা দেব প্রসাদ কর্মকার হত্যা মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় এবং মামলা তুলে না নিলে (আমাকে) বাদিকে অপহরণ করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি জীবনের নিরাপত্তাচেয়ে সোমবার থানায় একটি জিডি করেছি।
তার পেরেই আমার উপরে হামলা হয়েছে। হত্যা মামলার বাদি এলিজাবেথ কর্মকার অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে একই গ্রামের আবদুল কাদের ভাট্টির ছেলে হত্যা মামলার আসামি ফিরোজ ভাট্টির নেতৃত্বে ৬/৭ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় ধারাল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে ডুকে হামলা করে আমাকে অপহরণ করে নিয়ে যাবার চেষ্টাকরে।
এ সময় আমার মা অর্পা মজুমদার (সাবানা) প্রতিবেশী লিমা আক্তার আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে। পরবর্তিতে গামছা দিয়ে আমার চোখ বেঁধে শারীরিক শ্লীলতাহানি ও মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেছে। নিহতের স্ত্রী অর্পা মজুমদার ওরফে সাবানা (৪২) অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে এলিজাবেথ কর্মকারকে শারীরিক শ্লীলতাহানি ও মারধর করে অপহরনের চেষ্টা করলে আমি ৯৯৯ ফোন দিলে আগৈলঝাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু ইউসুফ একদল পুলিশ নিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেপরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযেগিতায় আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফিরোজ ভাট্টির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য বা বক্তব্য দিতে রাজি না। আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আলম চাঁদ সাংবাদিকদের বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে। বরিশাল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরনদী সার্কেল) শারমিন সুলতানা রাখি বুধবার বিকেলে বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। ভুক্তভূগিরা থানায় এসেছে তারা লিখিত অভিযোগ দিলেই মামলা নেওয়া হবে।