শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় বেড়াতে এসে প্রতিবেশী এক বখাটে কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হন এক কলেজছাত্রী। এ সময় ওই কলেজছাত্রী ৯৯৯ এ সহায়তা চেয়ে কল দেন।
পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত বখাটে সোহেল মুন্সি (২৬) ও ধর্ষণ চেষ্টায় সহায়তার অভিযোগে ফিরোজা বেগম নামে একজনকে (৪৫) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে শহরের লক্ষ্মীপুরা মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বখাটে সোহেল শহরের লক্ষ্মীপুরা মহল্লার মফিজুর রহমান (ফিরোজ) মুন্সীর বখাটে ছেলে ও ফিরোজা বেগম দক্ষিণ শিয়ালকাঠীর লিয়াকত মার্কেট এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের এর স্ত্রী।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ভাণ্ডারিয়া পৌর শহরে লক্ষ্মীপুরা মহল্লার হাইস্কুল সড়কে রিপন বেপারীর ভাড়াটিয়া ফিরোজা বেগমের বাসায় ওই কলেজছাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কিছু কাগজপত্র গচ্ছিত ছিল।
ওই কলেজছাত্রী ফিরোজা বেগমকে খালা হিসেবে সম্বোধন করতেন। সোমবার ওই ছাত্রী কাগজপত্র নিতে ফিরোজা বেগমের বাসায় আসেন। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে বাসায় প্রতিবেশী বখাটে সোহেল মুন্সী ফিরোজা বেগমের ঘরে ঢুকে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এ সময় মেয়েটি কৌশলে ৯৯৯ নম্বরের সহায়তা চেয়ে কল দেন। ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় সোহেল মুন্সীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ সময় ধর্ষণের চেষ্টায় সহায়তা করার অপরাধে ফিরোজা বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটি বাদী হয়ে মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দুজনকে আসামি করে ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, ৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক মেয়েটিকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।