বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
শামীম আহমেদ: বরিশালে প্রাণঘাতী (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাস সংক্রম ও জণ সমাগম থেকে সাধারন মানুষকে দুরে রাখার জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন,র্যাব ও সেনা বাহিনী সহ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা করা সহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেও নিত্য আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের প্রয়োজনীয় খাবার পৌছে দেবার বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করতে নাপারার কারনেই তাদেরকে ঘড়ে আটকে রাখা যাচ্ছে না।
এদিকে নগরীর সদরঘাটস্থ হাটখোলা মসজিদ গলির ভিতরে বেশ কয়েকটি প্লাষ্টিক কারখানার বাহিরের সাটার টেনে ভিতরে জড়ো হয়ে মহিলা শ্রমীকদের কাজ করানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর হাটখোলা মসজিদ গলির আঃ সোবহান প্লাষ্টিক সেন্টার কারখানায় গেলে সেখানে দেখা যায় প্রায় ২৫থেতে ৩০ জন একত্রিত হয়ে বিভিন্ন প্লাষ্টিকের দ্রব্য ভাঙ্গার কাজ করেছে।
কাজের সময় মহিলা শ্রমীকরা সামাজীক নিরাপত্তা রক্ষা করছেন না পাশাপাশি তারা ব্যবহার করছেন না মাক্স। এসময় ছবি তুললে কারখানার মালিক আঃ সোবহান হাস্যরত অবস্থায় বলেন তোলেন ভাই ভাল করে ছবি তোলেন।
মহিলা শ্রমীকরা একসাথে জড়ো হয়ে বসে কাজ করছে তাদের সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থ করছেন না কেন জানতে চাইলে সোবহান মিয়া বলেন বাসায় খাবার পাঠাইয়া দেন মহিলাগো বাসায় বাসায় পাঠাইয়া দিমু।
এব্যাপারে মহিলা শ্রমীকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন কাজ না করলে খামু কি? প্রতিদিন এই প্লাষ্টিক কারখানায় কাজ করে একক জনে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কাজ করে কেহ ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা পায় যা দিয়ে সংসার চলে যায়।
তারা এসময় বলে করোনা হলে আমাদেরতো না খেয়ে মরত হবে জানি তাহলে কাজ করে কিছু খাইয়া মরি। আমাগোতো কেহ খাওয়ন দেই না।
আমাগো সংসারের খাওয়ন দেন দেখবেন মোরা কাল থেহে কাজে আসুম না।
অন্যদিকে গত ১২ই এপ্রিল থেকে জেলা প্রশাসন কর্তৃক নগরীতে লকডাউন ঘোষনা করা হলেও সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত সরকারীভাবে অনুমোদিত প্রয়োজনীয় ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ঔষদের ফার্মেসির পাশাপাশি চুপেচাপে ইলেক্টনিক্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা সেই সাথে সামাজীক নিরাপত্তার বিষয়টি মানছে তারা।
এছাড়া এখনো নগরীর হাটখোলা সদরঘাট সড়ক,পলাশপুর বিভিন্ন গুচ্ছগ্রামের অলিগলিতে দিনভর দলবেধে চলছে আড্ডাবাজী তাদেরকে করা যায়নি ঘড়মুখো।
শুধু মাত্র নগরীর সদররোড সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সন্ধা ৬টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত কিছুটা লকডাউন কার্যকর হতে দেখা যায়। অন্যদিকে বস্তি এলাকা পোর্টরোড,সদরঘাট, হাটখোলা থেকে শুরু করে পলাশপুর সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাত পর্যন্ত মোড়ে দলবদ্ধ হয়ে মহিলা-পুরুষ ও যুবক শ্রেনীর সদস্যরা প্রাণঘাতী করোনাকে কিছুই মনে করছেনা তারা একসাথে বসে দিয়ে গল্প ও আলাপচারিতা করেই যাচ্ছেন।
এদিকে দেখা যায় পুলিশ প্রশাসন,র্যাব সদস্যরা বিকাল থেকে সন্ধা ৭ টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্নস্থানে মাইকিং করা সহ টহল দিয়ে সবাইকে ঘড়ে যাবার কথা বলে তারাও চলে যায়। কিন্ত রাত ৮ টার পর কোতয়ালী মডেল থানা ও কাউনিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা এলাকাভিত্তিক টহল ব্যবস্থা জোরদার করেন তাহলে লকডাউন আইন কার্যকর করা প্রশাসনের পক্ষে করা সম্ভব হবে।