মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
সালীশের সুযোগে কিশোরীকে চেয়ারম্যানের বিয়ের ঘটনায় তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশ জারি!
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান সালিশ ব্যবস্থা করতে গিয়ে কিশোরী মেয়েকে দেখেই নিজের পছন্দ হওয়ার পর বিয়ে করা সেই চেয়ারম্যানের রচিত ঘটনায় তিনটি বিষয় নিয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
যানাযায়,৩০ দিনের মধ্যে পটুয়াখালীর ডিসি, জেলা নিবন্ধক ও পিবিআইকে তদন্ত করে আলাদা তিনটি প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবরে দাখিল করতে বলেছেন।
একইসঙ্গে ওই কিশোরীকে তার নিরাপত্তা দিতে পটুয়াখালী জেলার এসপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে রোববার (২৭ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ জারী করা হয়।
এছাড়াও পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৮ই আগস্ট ২১ইং তারিখ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আদালত শুনানিতে বলেছেন, পত্রিকার প্রতিবেদন দেখে যা বুঝলাম সালিস করার জন্য ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে ক্ষমতার অপ্যবহার করেছেন চেয়ারম্যান।
এরপক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আমাতুল করিম ও ইকরামুল টুটুল। সহযোগীতায় ছিলেন আইনজীবী খায়রুন্নেসা নাসিমা, সীমা জহুর ও কানিজ ফাতেমা।
এবিষয় গণমাধ্যমকে আমাতুল করিম জানান, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ক্ষমতার অপব্যবহার তদন্ত করবেন, পিবিআই ফৌজদারি অপরাধের বিষয়ে তদন্ত করবেন এবং জেলা নিবন্ধক বিয়ে নিবন্ধনের বিষয়ে তদন্ত করবেন। উক্ত ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে সেটিও জানাতে হবে।
কনকদিয়া ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে একই ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের রমজান নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত বৃহস্পতিবার রাতে তারা দুজন পালিয়ে যায়। বিষয়টি কিশোরীর বাবা কনকদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান। এরপর চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শুক্রবার কনকদিয়া ইউপি কার্যালয়ে ছেলে ও মেয়ের পরিবারকে যেতে বলেন। সেই অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যরা ইউপি কার্যালয়ে উপস্থিত হন। সেখানে মেয়েটিকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় চেয়ারম্যানের। তিনি মেয়েটিকে বিয়ে করার আগ্রহ দেখান।
শুক্রবার দুপর ১টায় স্থানীয় কাজী মো. আবু সাদেককে বাড়িতে ডেকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এদিকে এই বিয়ের পর তা জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। শনিবার ওই একই কাজীর মাধ্যমেই তালাক সম্পন্ন হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠেকে জানান, ওই মেয়ে তাকে স্বামী হিসেবে মেনে না নেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে মেয়েটিকে তার বাবার সঙ্গে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।।