রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:০৭ অপরাহ্ন
করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বরিশাল নগরের রূপাতলী ও নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকামুখী মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে।
অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস, মাইক্রোবাস বন্ধ থাকায় শনিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে সব বাধা উপেক্ষা করে বিকল্প পথে এসব মানুষ ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে।
ঢাকামুখী এসব মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করার পর তারা দেশের বাড়িতে ফিরেছিল। রোববার (৫ এপ্রিল) থেকে গার্মেন্টস ও বেসরকারি কোম্পানির অফিস খেলা থাকার কারণে চাকরি টিকিয়ে রাখতে পায়ে হেটে, কখনো মোটরসাইকেল, কখনো ভ্যানসহ বিভিন্ন থ্রি হুইলার অথবা ট্রাকে চেপে বাড়তি ভাড়া বিনিময়ে ঢাকার উদ্দেশে তাদের যাত্রা করতে হচ্ছে।
এক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি তেমন ভ্রুক্ষেপ করছেন না সাধারণ মানুষ। এদিকে গণজমায়েত বন্ধ ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিতের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বরিশালে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুদা জানান, জেলাটিতে এখন পর্যন্ত এক দোকান মালিকসহ ১২ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
অপরদিকে পুলিশও চেষ্টা করছেন যাতে করে সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকে। তাই বাসস্ট্যান্ডসহ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দায়িত্ব পালনকালে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজিত কুমার জানান, তারা চেষ্টা করছেন যাতে করে এক জায়গায় অনেক মানুষের ভিড় না হয়।
এদিকে এ ঘটনা কেবল বরিশাল নগর নয়, বিভাগের অন্যান্য উপজেলায় থাকা বিশেষ করে গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করছেন। ঢাকার কর্মস্থলে যেতে ঝালকাঠির বাসস্ট্যান্ডগুলোতে লোকসমাগম ও ভিড়ে সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না।
সকাল থেকে বেসরকারি চাকরিজীবীরা কর্মস্থলে যোগ দিতে ঘরে থাকার নিয়ম না মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখেই ঢাকার উদ্দেশে ছুটছে মোটর সাইকেল, টেম্পো, মাহিন্দ্রসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহনে। আর এসব জটলার কারণে ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন স্থানের হাট বাজার ও বাসস্ট্যান্ডে লোক সমাগম দেখা গেছে।
এবিষয়ে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক (ডিসি) জোহর আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।