বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কলাপাড়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার  গলাচিপায় বজ্রপাতে ৫ গরুর মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারগুলো নিঃস্ব ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে কলাপাড়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে বৃদ্ধ মা’কে পেটালেন ছেলে বরিশালে চীনের ১হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ৬ লেইন প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ৬ লেন রাস্তার দাবীতে কুয়াকাটায় মানববন্ধন নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসব ২০২৫: টেকসই ভবিষ্যতের প্রত্যয়ে আয়োজন পটুয়াখালীতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান বাউফলে মায়ের সাথে খেলতে গিয়ে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু কুয়াকাটায় চলছে ৩দিন ব্যাপী রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব সিদ্দিক সভাপতি, মিজান সম্পাদক। মহিপুর থানা যুবদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত গৃহবধূ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে কুয়াকাটায় মানববন্ধন গৌরনদীতে চোর সন্ধেহে গনপিটুনিতে আহত যুবকের দুইদিন পর মৃত্যু কুয়াকাটায় আগুনে পোঁড়া বন পরিদর্শন
দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ৩৬০০ মিটার 

দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ৩৬০০ মিটার 

Sharing is caring!

শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মাসেতুর ২৪তম স্প্যান ‘৫-এফ’ সেতুর ৩০ ও ৩১ নম্বর পিলারের উপর বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো ৩ হাজার ৬০০ মিটার (৩.৬ কিলোমিটার)। একের পর এক স্প্যান বসিয়ে এভাবেই স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মাণ হচ্ছে।

২৩তম স্প্যান বসানোর ৯ দিনের মাথায় ২৪তম স্প্যানটি বসানো সম্ভব হলো। গাড়ি কিংবা ট্রেনে চড়ে পদ্মাপাড়ি বাস্তবে রূপ নেবে আর ১৭টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে স্প্যান বসানো শেষ হয়। মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, সকাল ৯টায় ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে অস্থায়ীভাবে রাখা ১২ ও ১৩ নম্বর পিলার থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেন নিয়ে রওনা করে। সেতুর ৩০ ও ৩১ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছায় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে।

প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, ভাসমান ক্রেনটি নোঙর করে পজিশনিং করে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে স্প্যানটিকে তোলা হয় পিলারের উচ্চতায়। তবে স্প্যানবহনকারী ক্রেনটিকে নির্দিষ্ট স্থানে নোঙর করতে বেশি সময় লেগেছে। কাদা মাটির স্তরে ক্যাবলের মাধ্যমে অ্যাংকরিং করতে সমস্যা পোহাতে হয় প্রকৌশলীদের। জটিলতা শেষে দুই পিলারের বেয়ারিংয়ের ওপর রাখা হয় স্প্যানটিকে। খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আগে থেকেই বিশেষজ্ঞ প্যানেল দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

জানা যায়, পদ্মাসেতুতে প্রথম স্প্যান ‘৭-এ’ ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে বসে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। স্প্যান ‘৭-বি’ সেতুর ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারে বসে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি। স্প্যান ‘৭-সি’ সেতুর ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারে বসে ২০১৮ সালের ১১ মার্চ। স্প্যান ‘৭-ই’ সেতুর ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারে বসে ২০১৮ সালের ১৩ মে। স্প্যান ‘৭-এফ’ সেতুর ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারে বসে ২০১৮ সালের ২৯ জুন। স্প্যান ‘১-এফ’ সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারে অস্থায়ীভাবে বসানো হয় ২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর। স্প্যান ‘৬-এফ’ সেতুর ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারে বসে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি। স্প্যান ‘৬-ই’ সেতুর ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারে বসে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। স্প্যান ‘৬-ডি’ সেতুর ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলারে বসে ২০১৯ সালের ২২ মার্চ। স্প্যান ‘৩-এ’ সেতুর ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারে বসে ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল। স্প্যান ‘৬-সি’ সেতুর ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারে বসে ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল। স্প্যান ‘৩-বি’ সেতুর ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারে বসে ২০১৯ সালের ২৫ মে। স্প্যান ‘৩-সি’ সেতুর ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারে বসে ২০১৯ সালের ২৯ জুন। স্প্যান ‘৪-এফ’ সেতুর ২৪ ও ২৫ নম্বর পিলারে বসে ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। স্প্যান ‘৪-ই’ সেতুর ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলারে বসে ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর এবং স্প্যান ‘৩-ডি’ সেতুর ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের উপর বসে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর। ২৬ নভেম্বর সেতুর ২২ ও ২৩ নম্বর পিলারে বসে স্প্যান ‘৪-ডি’। ১১ ডিসেম্বর ‘৩-ই’ স্প্যান বসে সেতুর ১৭ ও ১৮ নম্বর পিলারের উপর। ১৮ ডিসেম্বর ২১ ও ২২ নম্বর পিলারে উপর বসে স্প্যান ‘৪-সি’। ৩১ ডিসেম্বর ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারে বসে স্প্যান ‘৩-এফ’। ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘৬-বি’ স্প্যান বসে ৩২ ও ৩৩ নম্বর পিলারের উপর। ২৩ জানুয়ারি মাওয়া প্রান্তে ৫ ও ৬ নম্বর পিলারে বসে ‘ওয়ান-ই’ স্প্যান। ২ ফেব্রুয়ারি জাজিরা প্রান্তে ৩১ ও ৩২ নম্বর পিলারে বসে ‘৬-এ’ স্প্যান।

পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD