শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কুয়াকাটায় ২দিন ব্যাপী শিক্ষক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত বরিশালে নারীপক্ষের আয়োজনে তরুণ প্রজন্মের সফলতার গল্প শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে জেলা প্রশাসকের শুভ আগমন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা বাউফলে জেলেদের মাঝে (বিজিএফ) এর চাল বিতরণে অনিয়ম স্বল্পমূলে তৈরিকৃত ১৯২ জন জেলেদের মাঝে লাইফবয়া বিতরণ পটুয়াখালী র‍্যাব ক্যাম্পে,ঘুমন্ত অবস্থায়  র‍্যাব সদস্যর মৃ/ত্যু কলাপাড়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে ইউএনও’র মত বিনিময় বাউফলে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ স্কুল শিক্ষকসহ আহত-৩ মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫ কলাপাড়ায় বৌদ্ধবিহার গুলোতে উদযাপিত হচ্ছে প্রবারনা পূর্ণিমা কুয়াকাটা সৈকত থেকে অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত ম/র/দে/হ উদ্ধার মহিপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের টিন ও নগদ টাকা প্রদান সাংবাদিকদের সাথে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় বাউফলে এক গৃহবধূর গর্ভে এক সঙ্গে পাঁচ নবজাতকের জন্ম পটুয়াখালীর গলাচিপায় র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে ১২শ কেজী পলিথিন জব্দ,
কলেজছাত্রী হত্যায় ভগ্নিপতির ফাঁসি, ২ জনের কারাদণ্ড

কলেজছাত্রী হত্যায় ভগ্নিপতির ফাঁসি, ২ জনের কারাদণ্ড

Sharing is caring!

বরগুনার আমতলীতে ফারিয়া ইসলাম মালা নামে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার দায়ে প্রধান আসামি ভগ্নিপতি পলাশকে মৃত্যুদণ্ড ও মরদেহ লুকানোর দায়ে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন ও আরও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলাটি থেকে অভিযুক্ত এক নারীকে দেওয়া হয়েছে বেকসুর খালাস।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাশ পটুয়াখালীর সুবিদখালী উপজেলর ভয়াং এলাকার লতিফ খানের ছেলে ও নিহত মালার মামাতো ভগ্নিপতি।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাশের ভাগ্নি জামাই বরগুনার আমতলীর বাসিন্দা আইনজীবী মইনুল হোসেন বিপ্লব এবং কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন পলাশের সহকারী রিয়াজ। এদের দু’জনকে মরদেহ লুকানো চেষ্টার অপরাধে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় মামলাটি থেকে খালাস পেয়েছেন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ওই আইনজীবী বিপ্লবের স্ত্রী ইমা রহমান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় মালাকে নিয়ে আমতলীতে মইনুল হোসেন বিপ্লবের (পলাশের আত্মীয়) বাসায় বেড়াতে যান পলাশ। তিনদিন সেখানে অবস্থান করেন তারা। পরে ২৪ অক্টোবর দুপুরে মালা পলাশকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু পলাশ এতে রাজি না হওয়ায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মালাকে ধর্ষণ শেষে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পলাশ। পরে মরদেহটি লুকানোর জন্য সাত টুকরো করে ওই বাসার বাথরুমের মধ্যে দু’টি ড্রামে ভরে রাখে। তবে সেসময় ওই বাসায় কেউ ছিল না।

গোপন সংবাদ পেয়ে ওইদিন বিকেলেই আইনজীবী বিপ্লবের বাসায় অভিযান চালিয়ে ড্রাম থেকে সাত টুকরো করা মরদেহ উদ্ধারসহ পলাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনার দিন রাতে বিপ্লব এবং পলাশের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।

বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জানান, মালাকে ধর্ষণ ও হত্যা দায়ে পলাশের মৃত্যুদণ্ড ও মরদেহ লুকানোর দায়ে তাকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া একই মামলায় আইনজীবী বিপ্লবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মরদেহ লুকানোর দায়ে যাবজ্জীবন এবং মরদেহ লুকানোর দায়ে রিয়াজকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে এ মামলায় আসামি বিপ্লবের স্ত্রী ইমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। তাই উচ্চ আদালতে যাবো।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD