বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে হবে। একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন সিইসি।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিযোগীতা মূলক হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, আমরা ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন করার জন্যই ইভিএম ব্যবহার করবো ঢাকা সিটি নির্বাচনে । যাতে লোক ভোট দিতে গিয়ে ভোট দিয়ে আসতে পারে। এখানে ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কোন সুযোগ রাখতে চাইনা। নির্বাচন প্রতিযোগীতা ও প্রতিদ্বন্তিতা মূলক হবে এবং আশা করছি সব দল প্রার্থী দিবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি এভিএমএর মাধ্যমে ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন করা সম্ভব। বিশ্বের সব দেশ থেকে ইভিএম উঠে গেছে তা না। কিছু কিছু বিষয় আছে, যদি জার্মানির তুলনা ধরা হয়, তাহলে তাদের প্রযুক্তি এবং তাদের যে অগ্রগতি, তাতে আমাদের মাঠ পর্যায়ের ব্যবধান রয়েছে। ভোটের মাঠে ওইসকল দেশের যা প্রেক্ষাপট তার সাথে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটের তুলনা করা চলে না।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ইভিএম-ই ভোটারদের নিশ্চিত করা এবং তাদের ভোট দেয়ার ব্যাপারে একটি অবস্থান সৃষ্টি করার একটা সহজ উপায়। পাশাপাশি ইভিএম ত্রুটি যুক্ত এটাও ঠিক না, কোন এক্সপার্ট এ কথা বলেনি। সুজনের সাধারন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের উক্তিকে উল্লেখ করে সাংবাদিকরা ইভিএম প্রযুক্তি কতটা সঠিক জানতে চাইলে সিইসি বলেন, বদিউল আলম মজুমদার সাহেবকে ইভিএম’এর বিষয়ে উপযুক্ত লোক বলে মনে করিনা, এই প্রযুক্তির বিষয়ে তাকে সেইভাবে দক্ষ গণ্য করিনা।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচন পরিচালনা করেন এবং ইভিএম যারা ব্যবহার করেন, প্রয়োগ করেন তাদের মতামত আমি জিজ্ঞেস করেছি। তারা ইভিএমএ সাচ্ছন্দ্য বোধ করার কথা বলেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবো, আমাদের ব্যবস্থাপনার মধ্যে কখনো ত্রুটি ছিলো না, এখনো থাকবে না।
ভোটারদের প্রতি আহবান থাকবে নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য। আমরা ভোটারদের আহবান করবো তার পাশাপাশি প্রার্থীদেরও কর্তব্য ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। নির্বাচন প্রতিযোগীতা মূলক নির্বাচন হলে ভোটার সংখ্যা বাড়বে। যেমনটা ভোলার লালমোহন পৌরসভায় ৭১ শতাংশ ভোটার গেছে ইভিএমএর মাধ্যমে। কারন এখানে নির্বাচন প্রতিযোগীতা মূলক ছিলো।
তিনি বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী দেয়ার কোন দরকার নেই। সেনাবাহিনী ব্যতিত অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী পুলিশ, র্যাব-বিজিবি মাঠে থাকবে। এ ধরনের নির্বাচন পরিচালনারা জন্য তাদের যথেষ্ট যোগ্যতা ও সক্ষমতা রয়েছে। ব্যাক্তিগত সফরে গত ২৬ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর বাউফলে যান সিইসি। আজ ঢাকায় ফেরার পথে বরিশালে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নানা দিক নির্দেশনা দেন তিনি। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন।