রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
চরমোন্তাজের মোজাম্মেল মেম্বারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: গলাচিপায় সংবাদ সম্মেলন আনন্দঘন পরিবেশে আলিপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় কৃষক বাজার গণসংযোগে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল গাফফার তালুকদারের রূহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া রিটানিং কর্মকর্তারা চাইলে দায়িত্বরত আসন ও প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে পারবে………..নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বরিশালে বিএনপি নেতার চাঁদা দাবি ও হুমকি মহিপুরে স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবিতে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর অনশন সরকারি সুবিধা প্রদানের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইউপির সদস্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়ে একদিকে যেমন আনন্দ অন্যদিকে ঘোর অন্ধকার কুয়াকাটায় উৎসবমুখর পরিবেশে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত কলাপাড়ায় ৯ হাজার ৪৭০ জন কৃষককে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ অসহায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পাশে  ‘লাভ ফর ফ্রেন্ডস’ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সদর উপজেলা যুবদলের ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প বঙ্গোগসাগরে ঘূর্নিঝড় মোন্থা,পায়রা বন্দরে ০২ নম্বর হুশিয়ারী সংকেত মহিপুরে রাখাইন শিশুদের অংশগ্রহণে বাতিঘর’র বৃক্ষ রোপণ
রাজাকারের তালিকায় বরিশালের ২৬ পুলিশের নাম

রাজাকারের তালিকায় বরিশালের ২৬ পুলিশের নাম

Sharing is caring!

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত রাজাকার তালিকায় শুধু বরিশালেরই অন্তত এক হাজার জনের নাম এসেছে। এরমধ্যে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের নামও রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। এতে হতাশার পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

দীর্ঘদিন পরে হলেও রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করায় খুশি হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তবে ভুলগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্টরা।

তালিকাটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রাজাকারের তালিকায় তৎকালীন বরিশাল বিভাগের একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি, একজন সাবেক সংসদ সদস্য, একজন সেনা কর্মকর্তা, ২৬ জন পুলিশ সদস্য, ১২ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাতজন মেম্বারসহ শিক্ষক, ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীর নাম এবং পদবি অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে।

বরিশাল বিভাগের রাজাকারের তালিকায় থাকা তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, পটুয়াখালী জেলা স্পেশাল ব্রাঞ্চের সাবেক পরিদর্শক মো. ওবায়েদুল হক, বরিশাল জেলার বানারীপাড়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠির সাবেক পরদির্শক শাহ আলম (তালিকায় দুইবার নাম রয়েছে তার), রাজাপুর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরউদ্দিন আহমেদ, বরিশালের সিআইডি ক্যাম্পের পরিদর্শক আবুল মোতালেব জোমাদ্দার, পরিদর্শক মো. আবু, সাবেক পরিদর্শক নজরুল ইসলাম, নলছিটির সাবেক ওসি মো. ইউসুফ আলী, সিআইডি পুলিশ সামসুল আলম, শাহ আলম, ওসি সেকান্দার আলি (তালিকায় দুই বার নাম রয়েছে), কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান, উজিরপুরের সাবেক এসআই একেএম নুরুল ইসলাম, পটুয়াখালী রিজার্ভ অফিসের সাবেক এসআই এস ইসলাম, কোতোয়ালির সাবেক এসআই এমএ মান্নান (তালিকায় চারবার নাম রয়েছে), বরিশালের টিএসআই খন্দকার আব্দুল বারি, এসআই মান্নান, ফজলুর হক, ইসহাক, শামসুল হক, একেএম মতিউর রহমান, এএসআই আব্দুল মাজিদ, আব্দুস সাত্তার, আজাহার আলী এবং কনেস্টেবল আব্দুস সোবাহান ও গোলাম মাওলা।

এছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস, সাবেক এমপি আব্দুল জলিল আকন, পাক মিলিটারির ক্যাপ্টেন আমজাত, সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর আ. লতিফ, ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা, ঠিকাদার আব্দুল আজিজ ও আব্দুল মালেক, রংপুর জামায়াত ইসলামের প্রধান মোখলেছুর রহমান, (তালিকায় দুইবার নাম রয়েছে) পটুয়াখালীর সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার এমএইচ খান, বাউফলের রাজস্ব সার্কেল অফিসের প্রধান সহকারী আসমত আলী মিয়াসহ বেশ কয়েক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তার নাম রয়েছে এই রাজাকার তালিকায়।

ব্রজমোহন কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল বাকী বিল্লাহ (তালিকায় দুইবার নাম রয়েছে), মেহেন্দিগঞ্জের পাতারহাট আরসি কলেজের প্রিন্সিপাল এএইচ আমির হোসেন, কাশিপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এবিএম আমজেদ আলী, কচুয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ, পিরোজপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মহিবুল্লাহ, ধামুরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আর্শেদ আহমেদ এবং একে ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গণির নামও রয়েছে তালিকায়।

এছাড়াও ১২ জন চেয়ারম্যান ও সাতজন মেম্বার এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ২৬ জনসহ বেশ কতজন আইনজীবীর পদবিসহ নাম রাজাকারের প্রকাশিত তালিকায় রয়েছে।

বানারীপাড়া উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবুল হক বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও রাজাকারদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হওয়ায় আমরা খুশি। তবে এ তালিকায় অনেকেই বাদ গেছে। যাদের মধ্যে বড় ধরনের সংগঠকও রয়েছে। সে নামগুলো দ্রুত সংযোজন করা উচিত।

বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এমজি কবির বুলু বলেন, তালিকাটি আরও বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা উচিত ছিল। তালিকায় অনেকেই রয়েছেন, যারা পিস কমিটিতে ছিলেন। স্পষ্টভাবে নাম উল্লেখ থাকলে তরুণ প্রজন্মের বুঝতে আরও সহজ হতো।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD