শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী বিঞ্জ আদালতে বাদী মামলার তারিখে হাজিরা দিতে এসে,৬ নাম্বার সতিন ও শশুরের বর্বরোচিত হামলার শিকার হন মামলার বাদী ফাতেমা বেগম।
আদালত চত্বরেই, রক্তাক্ত যখম হন দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমা। পটুয়াখালী জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে, ঘটে গেল এক ন্যক্কারজনক ঘটনা।
যৌতুক ও নির্যাতনের মামলায়, আদালতে হাজিরা দিতে এসে, সতিনের হামলার শিকার হয়ে, রক্তাক্ত হয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমা বেগম। শত শত মানুষের সামনে, আদালত চত্বরেই, ছয় নাম্বার স্ত্রী নাসিমা, তার সতিন ফাতেমার ওপর এ হামলা চালান।
ভুক্তভোগী ও আদালত সূত্রে জানা যায়, নাটোরের বাগাতিপাড়া থানার, কুমরাই গ্রামের, জিয়াউর রহমানের ছয় স্ত্রী।
দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমা বেগমের সাথে, সতেরো বছরের সংসার করেন জিয়াউর সেই সংসারে দুটি সন্তান থাকা সত্ত্বেও, জিয়াউর রহমান গোপনে পরকিয়া করে পরে নাসিমাকে বিয়ে করেন।
এ নিয়ে পারিবারিক কলহ ও যৌতুকের দাবির প্রেক্ষিতে, ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে, গত ১৮-৫-২০২৫ আঠারো-ই মে, দুই হাজার পঁচিশ তারিখে, পটুয়াখালী বিঞ্জ আদালতে, স্বামী ও সতিনসহ চার জনের বিরুদ্ধে, যৌতুক নিরোধ আইনের তিন ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নম্বর, সি আর, ৮৫০/২৫ আটশো পঞ্চাশ, বাই, দুই হাজার পঁচিশ। উক্ত মামলায়, আদালতে তারিখ থাকায় কোটে আসেন, বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষ।
কিন্তু আদালত প্রাঙ্গণেই মুখোমুখি হলে, ৬ নাম্বার স্ত্রী নাসিমা, হঠাৎ করে দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমা বেগমের ওপর চড়াও হন কিল,ঘুসি,থাপ্পড়, মারতে শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই, নাসিমা তার সতিনকে মারধর শুরু করেন, এবং একপর্যায়ে, রক্তাক্ত জখম করেন।
আদালতের মতো সুরক্ষিত স্থানে, এমন হামলার ঘটনায়, উপস্থিত বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীরা, তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম, কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমি শুধু বিচার চাইতে এসেছিলাম।
আমার দুই সন্তান নিয়ে কোথায় যাব,৩৫ বছর বয়সে কোথায় মাথা গুজবো,ওরা কাকে বাবা বলে ডাকবে। মামলা করেছি দেখি আমার স্বামী ভাল হয়ে যায় কিনা।
আর ওরা আমাকে আদালতেই এসে আমাকেসহ আমার বাবার বাড়ীর লকজনকে মেরে ফেলার চেষ্টা করল। আমি এর উপযুক্ত বিচারের দাবী জানাই। উক্ত ঘটনার বরাত দিয়ে এক নারী বলেন, এমন অমানবিক নির্যাতন কোট চত্বরে আমি আর কখনো দেখি নাই।
১৭ বছর সংসারে ২ সন্তান থাকার পরেও মানুষ কেন যে পরকিয়া করে আমি বুঝি না।
উক্ত ঘটনার ব্যপারে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি, এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।
অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।