মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী র্যাব-৮, সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-১১, সদর কোম্পানী,ঢাকার নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এ যৌথ অভিযানের মাধ্যমে পটুয়াখালীর লোহালিয়া বাজার ইজারা নিয়ে সংঘর্ষে ১জন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ওলি(৩০)নামের এক যুবককে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে র্যাব -৮ যৌথ অভিযান চালিতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গত রা ০৩ নভেম্বর ২০২৫ইং তারিখ আনুমানিক ২৩:৪৫ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পটুয়াখালীর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক এজাহার নামীয় অভিযুক্ত অলি শিকদার (৩০) পিতা- মৃত তাহের শিকদার, সাং-পাজাখালী থানা পটুয়াখালী সদর জেলা পটুয়াখালী’ কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, মামলার বাদী মোসাঃ আকলিমা বেগম এর ছেলে মৃত ভিকটিম মোঃ মফিজুল ইসলাম (মাসুদ)। উক্ত মামলার ১নং আসামী সোহাগ মাঝি একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলার আসামী। বাদীর ছেলে মফিজুল ইসলাম মৃধা ওই মামলায় স্বাক্ষী।
১নং আসামী সোহাগ মাঝির ধর্ষন মামলায় বাদীর ছেলে স্বাক্ষী হওয়ার কারণে বাদীর ছেলের উপর শত্রুতা পোষন করে। ঘটনার দিন ও সময় বাদীর ছেলে নিত্য দিনের ন্যায় কর্মস্থলের কাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে, লোহালিয়া পালপাড়া বাজারের দক্ষিন পার্শ্বে আসলে সকল আসামীগন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই উদ্দেশ্যে, বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়া ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র অতর্কিত আক্রমন করে।
১নং আসামী সোহাগের হাতে থাকা রামদা দ্বারা খুনের উদ্দেশ্যে ভিকটিমের মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ দিলে উক্ত কোপ জখমীর মাথার তালুতে পড়িয়া মারাত্মক হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
অপরাপর অন্যান্য আসামীগণ ভিকটিমকে যার যার হাতে থাকা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দ্বারা মারাত্মক রক্তাক্ত যখম করে।
আসামীগণ ভিকটিমের পকেটে থাকা ঔষধ বিক্রয়ের নগদ ৬৫,০০০/- (পয়ষট্টি হাজার) টাকা ও একটি SAMSUNG কোম্পানীর স্মার্ট মোবাইল ফোন, যাহার মূল্য অনুমান ৬০,০০০/-(যাট হাজার) টাকা নিয়া যায়।
আসামীরা ভিকটিমের ব্যবহৃত হিরো স্পেন্ডার মোটর সাইকেলটি কোপাইয়া ও পিটাইয়া অনুমান ১,৩৫,০০০/-টাকার ক্ষতি সাধন করে।
খবর পেয়ে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আসামীদের বাধা নিষেধ করলে আসামীরা পুলিশের উপর চড়াও হয় ও আক্রমন করে।
আসামীগণ পুলিশ ও জখমী মফিজুল মৃধার চোখ মুখ লক্ষ্য করে মরিচের গুড়া নিক্ষেপ করে। পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাইলে পুলিশ ফোর্সসহ সেনাবাহিনী গিয়া (ভিকটিম) সহ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে।
ভিকটিমকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়া বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে এবং বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ভিকটিমের মাথার খুলি কাটা ও পায়ের রগ কাটা দেখিয়া এবং ভিকটিম বমি করায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহার উন্নত চিকিৎসার জন্য তৎক্ষনাত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসারত অবস্থায় ভিকটিম মৃত্যুবরণ করেন। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যপারে পটুয়াখালী ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার কোম্পানী অধিনায়ক মোঃ রাশেদুল আহসান বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় আমাদের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতে ও অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।