মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
পটুয়াখালী সদর ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক রাজু তালুকদার গ্রেপ্তার।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চায়ের দোকানী কামরুল মৃধা’কে রাত দুপরে দলবদ্ধ হয়ে গুরুতর মারপিটের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৬ (জুন) রাত ৩টায় পটুয়াখালী সদর উপজেলার টেংরাখালী ব্রীজ সংলগ্ন ভুক্তভোগী কামরুল মৃধার চায়ের দোকানে এই ঘটনাটি ঘটে।
আসামি রাজু’র দলবদ্ধ হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুল মৃধাকে অসংখ্য জনক অবস্থায় দেখে বরিশাল রেফার করে।
বর্তমানে ভুক্তভোগী কামরুল মৃধা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী কামরুল মৃধার বড় ভাই হাসেম মৃধা বাদী হয়ে মোঃ রাজু তালুকদার (২৭), পিতা- মোঃ মজিবর তালুকদার,মোঃ ইমরান (২৬), পিতা-মোঃ শহিদুল ইসলাম,মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪৫), পিতা-মৃত আঃ খালেক হাং, মোঃ মনির তালুকদার (৪০), পিতা-মোঃ মজিদ তালুকদার, মোঃ জাকির বিশ্বাস (২৭), পিতা-মোঃ ফারুক বিশ্বাস, মোঃ জামাল হাং (৩৫), পিতা-মোঃ আঃ হামিদ হাং সহ অজ্ঞাত আরো ৫ জনকে আসামি করে পটুয়াখালী সদর থানায় নিয়মিত মামলা করেন।
যার মামলা নং জি’আর- ৪১। মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পূর্ব থেকে বিবাদী কামরুল মৃধার চায়ের দোকানে প্রতিদিন চা-চক্রের আড্ডা দিতেন এবং প্রায় সময় চা,সিগারেট খেয়ে নগদ টাকা না’দিয়ে চলে যায়।
যার ফলে দোকানে বকেয়া টাকার পরিমাণ বেড়ে যায়। আসামিদের কাছে প্রায় সময় বকেয়া টাকার তাগাদা দিলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লুটপাট ও মারধরের শিকার হন কামরুল মৃধা।
এব্যাপারে এই মামলার বাদী ভুক্তভোগীর বড় ভাই হাসেম মৃধা বলেন, ঘটনার দিন রাত অনুমান ৩ টায় আসামিরা জোরপূর্বক দোকান ঘর খোলতে বলে।
আমার ভাই প্রায় সময় দোকানে রাত্রি যাপন করে। ওই দিন আসামিরা রাতদুপুরে দলবদ্ধ হয়ে আমার ভাইয়ের দোকানে আসে এবং তাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে জোরপূর্বক দোকান ঘর খুলতে বলে।
আমার ভাই দোকান খোলার পর আসামিরা দোকান থেকে চা,সিগারেট সহ বিভিন্ন ধরনে পন্যসামগ্রি নিতে থাকে। আসামিরা পন্যসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সময় বকেয়া টাকা সহ ওই রাতে সকল পন্যর দাম চাইলে আসামিরা আমার ভাইয়ের উপর চড়াও হয়।
একপর্যায়ে আসামি রাজু তালুকদার নেশা অবস্থায় তাকে মারতে থাকে। প্রান বাঁচাতে ভাই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে তাকে মারতে শুরু করে।
মারার একপর্যায়ে আমার ছোট ভাই গুরুতর আহত হলে, আসামিরা তাকে মাটি ফেলে রেখে দোকান ঘর ভাংচুর সহ লুটপাট চালায়।এবং দোকানে গচ্ছিত নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তাছাড়া এই ভাংচুরের ঘটনায় দোকাটির প্রায় ১ লক্ষ টাকার পন্যসামগ্রির ক্ষতি হয়।
মামলার কালক্ষেপণ নিয়ে বাদী হাসেম মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামিদের আঘাতে গুরুতর অবস্থায় ভাইকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালীর বাহিরে থাকায় মামলা করতে দেরি হয়েছে।
মামলা ও প্রেপ্তারের বিষয় পটুয়াখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বাদীর মামলা এজাহার ভুক্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে এই মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।
আমরা এই মামলার অধিকতর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করছি। পাশাপাশি এই মামলার বাকী আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।