শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলামের অপসারণ, শাস্তি ও দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কলাপাড়া ও মহিপুরের সর্বস্তরের জনগণ’র ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রবিউল ইসলাম অন্তর ও মোঃ বনি আমিন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
এদিকে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউএনওর পক্ষে পোস্ট করেছেন উপজেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দরা। সেই সাথে নিন্দা জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীদের।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ইউএনও রবিউল ইসলাম কলাপাড়ায় যোগদানের পর থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিব্বুর রহমান মহিবের সুপারিশে প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
তারা দাবি করেন, রবিউল ইসলাম স্থানীয় আওয়ামীলীগ’র ঘনিষ্ঠ একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। তিনি স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিনি অতিরিক্তভাবে উপজেলা ও পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করে পুনরায় আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
এ সময় বক্তারা ইউএনও মোঃ রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত ও তার অপসারণের দাবি জানান।মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার পক্ষে পোস্ট করেছেন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও ক্রীড়া অঙ্গনের অনেকে।
কলাপাড়া শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক মোস্তফা জামান সুজন, ধারাভাষ্যকার রাশেদ মোশাররফ কল্লোল, ইভান মাতুব্বর, সঙ্গীত শিল্পী জয়, জানিব, শামিম ব্যাপারীসহ আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রদল নেতারাও এর বিপক্ষে তীব্র প্রতিবাদ প্রকাশ করেন।
এমনকি ২৫ জুলাই এর প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয় ফেসবুক মাধ্যমে। তাদের পোস্টে লেখা হয় বিক্ষোভকারীরা সুবিধা নিতে না পেরে অন্য কারো প্ররোচনায় এই কর্মসূচি পালন করেছেন।
বিক্ষোভকারীদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন অনেকে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম ছুটিতে থাকায় মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তাসহ কল করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মোয়াজ্জেম হোসেন পটুয়াখালী
২৪/০৪/২০২৫